প্রকাশিত: ০৬/০৩/২০১৭ ৮:২৭ পিএম

নিউজ ডেস্ক::

বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ যদি এখন বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি রোহিঙ্গা মুসলমান নারী-শিশুদের রক্ষা করতেন। এমনটাই মনে করছেন বৌদ্ধ ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু দালাইলামা। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রয়টার্সের একটি সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।মিয়ানমার নেতা অং সান সু কিকে বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে বিবাদের নৈতিক দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন দালাইলামা। তিব্বতের এ ধর্মগুরু অং সান সু কির সাথে অনেকগুলো সাক্ষাতেই এ নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান। উল্লেখ্য দুজনেই নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। সেদিকে ইঙ্গিত দিয়ে দালাইলামা বলেন, ‘সে (সু কি) এরই মধ্যে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। একজন নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার উচিত সে যেন বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে বিবেদ কমানোর চেষ্টা করে। আমি আসলে তাকে একটু স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে বলেছি।’

 

   

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর দেশটির সরকারী বাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মানুসারীদের বিরূপ মনোভাব দেশটির গণতান্ত্রিক চর্চায় কালিমা লেপন করেছে। এরই মধ্যে শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান নারী শিশু নিহত হয়েছে এবং লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নিজেদের বসতভিটা ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অর্ধ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু কির নিরবতা বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বৌদ্ধ ধর্মানুসারী সাধারণ বার্মিজ থেকে শুরু করে অনেক ধর্মগুরুও মুসলমানদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। সেসব বৌদ্ধ সন্যাসীদের উদ্দেশ্য করে দালাইলামা বলেন, ‘মুসলমানদের নিয়ে এরকম নেতিবাচক চিন্তা করার সময় তাদের বুদ্ধের মুখের কথা স্মরণ করা উচিত।’ তিনি মনে করেন, ‘বুদ্ধ যদি এখন আসতেন তিনি অবশ্যই মুসলিম ভাই বোনদের রক্ষা করতেন।’

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

পাঠকের মতামত

স্বাভাবিক পথে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য, টেকনাফে ফিরছে যাত্রী

অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। দীর্ঘ ৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাতায়াত করছে ...