
একই সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় চলছে একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশ নিয়েছে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ফুটবল দল। আর এইসব খেলা দেখতে ক্যাম্পের বাইরে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, খেলার কথা বলে রোহিঙ্গারা প্রায় বিনা বাধায় ক্যাম্প থেকে বের হতে পারে। কিন্তু ইদানিং তাদের সঙ্গে বের হচ্ছে হাজার হাজার সমর্থক। এসময় তারা এলাকায় নানা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।
টেকনাফের হ্নীলার মোছনি এলাকায় চারদিক পর্দা দিয়ে ঘেরা মাঠে একপক্ষে রঙিখালী একাদশ, দলটি এলাকাবাসীর। অন্য দলটি শালবাগান একাদশ। শালবাগান দলের ১১জনই খেলোয়ারই রোহিঙ্গা ।
রোহিঙ্গা খেলোয়াড়রা জানান, খেলার জন্যে ক্যাম্প থেকে বের হতে তাদের কোন বাধা দেয়া হয়না।
আর রোহিঙ্গা দর্শকরা জানান, তারা নিজেদের দলের খেলা দেখতে নানা কৌশলে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
অংশগ্রহণকারী রোহিঙ্গা খেলোয়াড়দের পাশাপাশি হাজার হাজার রোহিঙ্গা সমর্থক বিনা বাধায় ক্যাম্পের বাইরে চলে আসায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন টেকনাফের বাসিন্দারা।
তবে খেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নূর বলেন, খেলার ক্ষেত্রে এলাকাবাসী ও রোহিঙ্গারা মিশলে কোন সমস্যা হবে বলে মনে করেন না আয়োজকরা।
আর এলাকার লোকজন বলেন, খেলায় টিকেট বিক্রির জন্যে আয়োজকরা রোহিঙ্গাদের অবাধে মাঠে আসতে দেয়। কিন্তু কখনো কখনো খেলা নিয়ে বিরোধ হলে সংঘর্ষ হামলা-পাল্টা হামলার দিকে চলে যায়।
ক্যাম্পের চারদিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন থাকার পরও রোহিঙ্গারা কিভাবে লোকালয়ে আসতে পারে এর উত্তরে ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। সুত্র: একাত্তর টিভি
পাঠকের মতামত