প্রকাশিত: ২৭/১০/২০২১ ৩:০৩ পিএম

কোচিং-এ প্রাইভেট পড়ার জন্য সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে জবাই হয়েছে সুমাইয়া (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে থাকা অপর একজন মনির হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরকেও আঘাত করা হয়। এতে করে মনির হোসেন ক্ষতবিক্ষত হয়। সেসময় জবাই করা রক্তাক্ত কিশোরীর মরদেহের পাশেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিলেন কিশোর। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব আঞ্চলিক সড়কের পাশে এলেঙ্গা পৌরসভার এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজের সামনে খোকন নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের সিঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে আহত কিশোর মনিরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশ সদস্যরা।

স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে। তিনি উপজেলার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলছাত্রীর পরিবার এলেঙ্গা রিসোর্টের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। আহত ম‌নির পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এদিকে, আহত মনির হোসেন (১৭) একই উপজেলার ভাবলা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সুমাইয়া সকালে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী প্রাইম কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিল মনির নামে একজন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে শামসুল হক কলেজের সামনে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে ডেকে নিয়ে সিঁড়ির নিচে জবাইয়ের পর হত্যা করে চলে যায়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজীব পাল চৌধুরী বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মনির নামে এক কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তার বুকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করায় ভুড়ি বের হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার ঘাড়ে দুটি কোপ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কালিহাতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সকালে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জবাই করা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।’ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আহত অবস্থায় অপর এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক হলে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, কিশোরীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই প্রকৃত ঘটনার রহস্য জানা যাবে। তবে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমের সম্পর্কের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। বিডি২৪লাইভ

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...