৩ অক্টোবর সোমবার। ওই দিন বিকেলে সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বখাটে বদরুল আলমের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। স্নাতক ২য় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এক সাপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন। ভেন্টিলেটর মেশিনের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন তিনি।
তবে খাদিজার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিবার্তার পাঠকদের জানাতে সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে স্কায়ার হাসপাতালে অবস্থান করেন আমাদের এই প্রতিবেদক। এ সময় তিনি খাদিজার স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।
তারা জানান, খাদিজাকে এখনো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তবে আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
হাসপাতালে অবস্থানকারী খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। রবিবার সে চোখ খুলে তাকিয়েছে, হাত-পা নেড়েছে।
তিনি জানান, শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হওয়ায় খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া ও ভাই শাহিন আহমদ বাড়ি চলে গেছেন।
তিনি বলেন, গত সোমবার দুপুরে খাদিজাকে নিয়ে এমসি কলেজে গিয়েছিলাম। সে দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে খাদিজাকে দিয়ে বাসায় ফিরে যাই। তবে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যেতে এসে তাকে পাইনি। হঠাৎ করে খাদিজার এক বান্ধবী আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে আমি দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চলে যাই।
তিনি কান্না জাড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের একটাই দাবি, দোষী বদরুলের সঠিক বিচার হোক।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খাদিজাকে মাটিতে ফেলে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বদরুল আলম (২৭)। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮-০৯ সেশনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খুরমার মুনিরজ্ঞাতি গ্রামে।
বদরুল ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। আর খাদিজা সদর উপজেলার আউশা এলাকার সৌদী আরব প্রবাসী মাসুক মিয়ার মেয়ে। পরিবারের সাথে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বসবাস করেন তিনি।
পাঠকের মতামত