প্রকাশিত: ০৭/০৪/২০১৮ ১২:৩১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৩০ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে কারাগার থেকে রওনা হয়ে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। এরপর তাকে কেবিন ব্লকের ৫১২ রুমে কেবিনে নেয়া হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের পর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়ার সিন্ধান্ত হয়।

আগের দিন শুক্রবার কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়া সাথে দেখা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তার হাঁটুর সমস্যা বেড়ে গেছে। চলতে-ফিরতে কষ্ট হয়। কিছু স্নায়ুবিক সমস্যা আছে। তার জন্য যেমন চিকিৎসা দরকার তা তিনি পাচ্ছেন না।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার খবরে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

তাকে হাসপাতালে আনার সময় শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করে বিএনপি ও ছাত্রদলের কিছুকর্মী। পরে পুলিশের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়। এ সময় অন্তত চারজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে এই মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

সেই সঙ্গে খালেদা তারেকসহ দণ্ডিত সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।

এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।

পাঠকের মতামত