প্রকাশিত: ২৫/১০/২০১৭ ৮:৪৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:৪৯ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিলেন ৮৪ বিসিএস কর্মকর্তা। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকায় ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করেন এই কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ঢাকার গাজিপুরে টেলিকমিউনিকেশন্স স্টাফ কলেজে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ১০ টি ক্যাডারের ৮৪ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণকালিন শিক্ষাসফরে কক্সবাজার আসেন গত মঙ্গলবার। এর মধ্যে বাংলাদেশ জুড়িশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) ক্যাডারেরও কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছে। তারা সকলেই ৩৪ ও ৩৫ বিসিএস এর ক্যাডার। গতবাল বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় সমুদ্র সৈকত এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিসিএস ও বিজেএস নারী-পুরুষ কর্মকর্তারা লাবণী পয়েন্ট থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। এটি সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। অভিযানের সময় তারা সমুদ্র সৈকতে অবস্থানরত পর্যটকদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেনতামূলক পরামর্শ দেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া একজনের নাম ডেজি চক্রবর্তী। তিনি অর্থনীতি ক্যাডারের কর্মকর্তা। বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনের সহকারি প্রধান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটক ও দর্শনার্থী সারা বছর ব্যাপী কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। তাই এখানকার সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কেবল কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকেই উন্নত করবে না, বরং দেশ-বিদেশে এখানকার পর্যটনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
কক্সবাজারকে দেশের অন্যান্য সব জেলার চেয়ে ভিন্নভাবে দেখতে চান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার অনুপম সেন। তিনি বলেন, এখানকার রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা সবই অনুন্নত, অপরিস্কার, দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই পরিবেশ পর্যটকেরা কোনভাবেই মেনে নেবে না। এছাড়া এখানকার হোটেল ব্যবস্থাপনা ও পর্যটক সেবায় নানা ত্রুটি রয়েছে। এসব বিষয়ে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জন্য বেশি বেশি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাবে।
প্রশিক্ষণ পরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন (উপসচিব) বলেন,  রোহিঙ্গা প্রবেশের কারণে পর্যটন-নগরী কক্সবাজারে পর্যটন-শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। যদিও প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো নজরদারির কারণে কক্সবাজারের বর্তমান চিত্র স্বাভাবিক। তবুও অমূলক আশঙ্কা উড়িয়ে না দিয়ে রোহিঙ্গাদের বিস্তার বিষয়ে কক্সবাজারের প্রশাসনসহ সকল স্তরের জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।
টেলিকমিউনিকেশন্স স্টাফ কলেজের মহাপরিচালক প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের জেলাব্যাপী বিস্তারের ঝুঁকি যেন কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে ব্যহত না করে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। কারণ রোহিঙ্গাদের অবাধ প্রবেশ কক্সবাজারের সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করবে; যার ফলাফল হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এখানকার পরিবেশ, সমুদ্রসৈকত ও সার্বিক নিরাপত্তা । এর ফলে অবনতি ঘটতে পারে মহামূল্যবান পর্যটন শিল্প।
তিনি রোহিঙ্গাদের যত্রতত্র প্রবেশের ঝুঁকি প্রশমন, সর্বোপরি পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের প্রশাসনের সকলের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ এবং স্থানীয় জনগণের সচেতন অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহিদুর রহমান, প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক মো. সাজ্জাদ বিন মুস্তাইনুর সহ প্রশিক্ষণরত ৮৪ জন সরকারি কর্মকর্তা ৷

পাঠকের মতামত

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...

রাজাপালং ইউপি’র উপ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন চার চেয়ারম্যান প্রার্থী

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির উপ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ...

আইনি লড়াইয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন হুমায়ুন কবির চৌধুরী

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উপনির্বাচনে মহামান্য হাইকোর্টের রাযে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক বাতিলকৃত মনোনয়ন ...