কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটক সমাগম স্থান সুগন্ধা পয়েন্টে গড়ে উঠা অবৈধ ঝিনুক মার্কেট, ঝুপড়ি দোকান ও ঝুপড়ি ঘরে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা অপরাধ। চিহ্নিত অপরাধীদের নেতৃত্বে প্রতি মাসে ২০ লাখ টাকারও বেশি উক্তস্থানে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে সুগন্ধা পয়েন্টে। জেলা প্রশাসন এবং ট্যুরিষ্ট পুলিশের নামেও জনৈক ব্যক্তি চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়া এলাকার বীচ বাইক ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আনোয়ার ইসলাম হিরুর জানান, সৈকতে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি শিকার হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা।
তিনি বলেন, পুরো সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট জুড়ে শুধু চাঁদাবাজি নয়, ইয়াবা ও হেরোইন ব্যবসায়ী, মদ বিক্রেতা, ছিনতাইকারী ও সমাজের গর্হিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে চিহ্নিত অপরাধীরা। অপরাধিচক্র সিন্ডিকেট তৈরি করে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট, কলাতলি পয়েন্টসহ পুরো সৈকত এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ পর্যটকদের নানা হয়রানি করে চলছে। অবৈধ ঝিনুক মার্কেটটি সমুদ্র সৈকতের ব্যস্ততম সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার সৌন্দর্যহানি ও পরিবেশ দূষিত করে চলছে।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঝুপড়ি দোকান গুলো যেমনিভাবে সৈকতের সৌন্দর্যহানি করছে, তেমনিভাবে কথিত ব্যবসার আড়ালে রাতের আঁধারে চলছে নানা অপকর্ম। অপরাধীচক্র ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছে বলে দাবি করলেও তা সত্য নয় বলে দাবী করেন কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি।