শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজার শহরের বড়বাজার মাছ ব্যবসায়িরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে। সমিতির অফিস গুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয় বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংগঠন।
তবে এধরনের ধর্মঘটকে অবৈধ ও অযুক্তিক দাবী করেছেন বড় বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়িরা। সরকারী জায়গা উদ্ধারে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের প্রতিবাদে ডাকা এই ধর্মঘট তারা মানেনা। শুধু মাছের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও অন্যান্য দোকানপাট খোলা রয়েছে এবং ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা জানান, ২০১০ সালে বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (যার রেজি: নং: ৪৩৫/১৩) প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়রের নির্দেশে অফিস ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।
কিন্তু বিনা নোটিশে নবনির্মিত অফিস ঘর উচ্ছেদে তাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে দাবী করেন তিনি।
এমনকি উচ্ছেদ অভিযানকালে ক্যাশ বাক্সে থাকা সমিতির লাখ টাকা লুট হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেন সমিতির নেতারা।
সমিতির নেতারা বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) থেকে বড় বাজারের কাচা তরকারি, শুটকি-মাংস ও কাচা মাছ বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এতে সকল ব্যবসায়ি ও সমিতি নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা এবং কর্মসুচি পালনের আহবান জানানো হয়।
এদিকে, গত ২৭ জুলাই বুধবার দুপুর ২টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেল,কক্সবাজার পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির,কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই ফারুকসহ পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা অভিযান চালিয়ে বড়বাজারে শুটকি মার্কেট সংল্গ্ন অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
কক্সবাজার পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন জানান, বড়বাজারে পৌরসভার জায়গায় একটি ভূমিদস্যু চক্র সমিতির নামে রাতারাতি অফিস বানিয়ে অবৈধভাবে দখলে রাখে। তাদেরকে নোটিশ দেওয়ার পরও স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেয়নি । তাই মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পৌরসভার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে, মাছ ব্যবসায়িদের ডাকা ধর্মঘটকে ‘অবৈধ’ দাবী করেছে অন্যান্য ব্যবসায়িরা। সরকারী জায়গা দখল উচ্ছেদ এর প্রতিবাদে ডাকা এই ধর্মঘট তারা মানেনা। শুধু মাছের দোকান বন্ধ থাকলেও অন্যান্য দোকানপাট খোলা রয়েছে এবং ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক ভাবে চলছে।