প্রকাশিত: ১৪/০৩/২০১৭ ১১:৫৯ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক ::

শিক্ষা সচিবের গাড়ি পরিচয় দেয়া পাজেরো জিপ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। এসময় গাড়িতে থাকা দুই যুবককে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার ভোররাত ৪টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টের পূর্বের মোড় এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

গাড়িটির দুই দরজার পার্টসে বিশেষ কৌশলে রাখা ছয় হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক যুবকরা হলেন- টেকনাফ পৌর এলাকার কুলালপাড়ার মুহাম্মদ তৈয়বের ছেলে তৌহিদুর রহমান তুহিন (২২) ও চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার বৈরাগ এলাকার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে সালেহ জাহাঙ্গীর (৩১)।

তবে এসব ইয়াবার মালিক টেকনাফের নাজিরপাড়ার মুহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে রবিউল বলে দাবি করেছেন তুহিন। তার দাবি, চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে গাড়িতে উঠেন তিনি।

কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের ওসি এএস থোয়াই বলেন, একটি সরকারি পাজেরো গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে এসআই মহসীন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টের পূর্বের মোড় এলাকায় অবস্থান নেয়।

ভিআইপি গাড়ির সাইরেন বাজিয়ে আসা কক্সবাজারমুখী ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৪-০০৯৪ নাম্বারের পাজেরো গাড়িটি থামানো হয়। গাড়িতে থাকা যুবকরা পাজেরোটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের এবং তারা বেড়াতে এসেছিলেন বলে দাবি করে।

সন্দেহ হওয়ায় গাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালানোর পর দরজার মাঝখানে পার্টস খুলে বিশেষ কায়দায় রাখা ছয় হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করার পর গাড়িসহ তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

ডিবির হাতে আটক চট্টগ্রামের আনোয়ারার সালেহ জাহাঙ্গীর জানায়, এক বন্ধুর অনুরোধে তিনি সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর এলাকা থেকে গাড়িটিতে চালক হিসেবে উঠেন। রাত ৮টার দিকে পৌঁছান টেকনাফ। সেখানে রবিউলের লোকজন তার সঙ্গে দেখা করেন এবং তুহিনসহ তারা রাতেই চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, সাইরেন বাজিয়ে আসায় সরকারি গাড়ি হিসেবে কোনো চেকপোস্টই তাদের থামার নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু ইয়াবার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে, গাড়িটি মাসে দু-য়েকবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আনা হয় বলে জানান জাহাঙ্গীর।

তুহিন বলেন, পার্শ্ববর্তী এলাকার রবিউলের কথায় তিনি গাড়িতে উঠেন। ইয়াবাগুলো রবিউলের।

তবে, বিআরটিএ কক্সবাজার অফিসের মাধ্যমে জানা গেছে, পাজেরো গাড়িটি বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংক লিমিটেডের, ১৫ পুরানা পল্টন, ঢাকার নামে নিবন্ধনকৃত।

এটি জানার পর থেকে পুলিশ গাড়ির মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সন্ধ্যায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভাড়ায় কিংবা কমিশনে গাড়িটি ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। এর মূল হোতাকে খুঁজতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...