কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন সড়ক ও কলাতলী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ। বড় ধরণের এই অভিযানে হোটেলের ব্যবস্থাপক, প্রেমিক জুটি, ছিনতাইকারি, মাদকসেবী ও যৌনকর্মীসহ ৪৮ জনকে আটক করা হয়েছে। থানা সূত্র মতে, ধৃতদের মধ্যে পাঁচটি প্রেমিক-প্রেমিকা জুটিও রয়েছে।
ধৃত এই নারী-পুরুষকে রাতেই ভাম্যমান আদালতে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। তবে ভ্রাম্যমান আদালত এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেয়নি।
কক্সবাজার সদর থানা সূত্র মতে, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরকে নিরাপদ এলাকা হিসেবেই রাখতে এই অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, সারাদেশে পুলিশের অভিযানের অংশ হিসাবেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, শহরের এন্ডারসন সড়কের কয়েকটি হোটেলের কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাদের কাজে অসংগতির কারণে ব্যবস্থাপকদের আটক করা হয়েছে।
সাড়াশি এই অভিযানে কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) শ্যামল কুমার নাথ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার আহমদসহ সদর থানার বেশ কয়েকজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অভিযানের পর ৪৮ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।
অভিযানের সহযোগিতায় থাকা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন জানান, ধৃতদের মধ্যে ১০ জনকে ৬ মাসের, ১০ জনকে এক মাসের আর ৪ জনকে অর্থদন্ড দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অর্থদন্ড দেয়া ৪ জনই হোটেলের কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রগুলো জানান, সন্ধ্যার পরে শহরের এন্ডারসন সড়ক ও টকি হাউস সড়কে পুলিশের অভিযানের আগে লোকজনকে সরিয়ে দেয়া হয়। ওই সময় এলাকাটি জুড়ে আতংক সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আতংকিত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, পুলিশ যেভাবে অভিযান চালিয়েছে তাতে মনে হচ্ছিল হয়তো কোন জঙ্গী গ্রুপের সন্ধান পুলিশ পেয়েছে। তাদের ধরতেই অভিযান চলছে!
অপরদিকে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতে ধৃতদের হাজির করে শুনানি ও বিচার চলে। পরে আদালতের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেয়া হয়নি। অথচ সাংবাদিকরা এই অভিযানের পর ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের তথ্য নেয়ার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন।
কক্সবাজার ভিশন ডটকম