প্রকাশিত: ৩১/০৮/২০১৭ ৮:০০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:১৯ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::

কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে রোহিঙ্গা। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি নতুন করে কোন রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেনি।

বুধবার সীমান্তের রেজু আমতলী গিয়ে দেখা যায়, শত শত রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে টমটম গাড়ী যোগে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী  রোহিঙ্গা বস্তিতে ঢুকে পড়ছে। তাদের গরু, ছাগল, মুরগি লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনী ও রাখাইন যুবকেরা মুসলমানদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। পুরুষদের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করছে। তাই তারা প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশ আসছেন। মিয়ানমারের সেনারা কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে বলে জানান পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া ও রেজু-আমতলীতে কিছু টমটম গাড়ি অপেক্ষা করছে। জন প্রতি একশ’ টাকায় ওইসব গাড়ি রোহিঙ্গা পরিবহন করছে।

আইওএম প্রোগাম অফিসার সৈকত  বিশ্বাস  জানান, গত কয়েক দিনে মিয়ানমার থেকে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তের  বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, টেকনাফের নয়াপাড়া, শামলাপুর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ঢুকেছে। বালুখালী বস্তির লালু মাঝি, জানান বুধবার ১ হাজার ৩৮৫ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারি মোহাম্মদ নুর জানান, শত শত রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে। রেজু আমতলী এলাকায় রোহিঙ্গা আবদুল গফুর বলেন, পাঁচ দিন গহীন জঙ্গলে অর্ধাহারে অনাহারে থাকার পর বুধবার সকালে ওয়ালিদং পাহাড় পার হয়ে তিনি সেখানে পৌঁছেন। তার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু থানার সাহেব বাজার ইউনিয়নের নারাইন সং গ্রামে।

আবদুল গফুরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার এলাকায় তিন শতাধিক মানুষ গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কারণ পাশ্বর্বতী গ্রামে আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। আবদুল কাদের নামে আরেক রোহিঙ্গা জানান, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে  মিয়ানমারের গহীন বনে লুকিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে মঙ্গলবার রাতে রওনা দিয়ে ৩০ কিলোমিটার হেঁটে এপারে এসেছি। এখন পর্যন্ত কিছু খাইনি।

মিয়নমারের ফকিরাবাজার মিজ্জালী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে মোহাম্মদ তৈয়ব বলেন, দুই দিন আগে সীমান্ত এলাকায় আসি। বুধবার সকালে সীমান্ত অতিক্রম করে এদেশে প্রবেশ করি। বাবা, মা রেখে পালিয়ে এসেছি।

এ ব্যাপারে বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মিয়ানমার জিরো পয়েন্ট এলাকায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। তবে কোন রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হতে দেওয়া হবে না।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...