উখিয়া নিউজ ডটকম::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কক্সবাজারের ঐতিহাসিক জনসভায় ইয়াবা বিরোধী কঠোর বক্তব্যের পরও থামছেনা ইয়াবা পাচার। সরকার প্রধানের বক্তব্যের পর প্রশাসন কিছুটা তৎপর হলেও এখন তেমন কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে। ফলে আগের নিয়মেই কৌশল পাল্টিয়ে ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে পাচারকারীরা। উখিয়া সদর ষ্টেশন এলাকায় প্রায় প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে আতাউল্লা,গিয়াস ও জালু সিন্ডিকেট। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজের মাধ্যমে প্রভাবশালী উক্ত সিন্ডিকেট স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও ম্যানেজ করেছে। চুক্তিতে এনেছে থানার ক্যাশিয়ার কনেষ্টেবল আমিনকে। সব কিছু ম্যানেজ থাকার কারনে আতাউল্লা সিন্ডিকেট প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে ঠিক তেমন একটা পাত্তা দিচ্ছেনা। বেপরোয়া ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা। ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে সম্প্রতি নিজবাড়ী ছেড়ে আতাউল্লা উঠেছেন উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ভাড়া বাসায়।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে,সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা এনে জালালের ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন বাড়ী ও সদ্য ভাড়া নেওয়া আতাউল্লার ভাড়া বাসায় মজুত করা হচ্ছে। পরে সুযোগ বুঝে পাচার করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে আতাউল্লা,গিয়াস ও জালাল সিন্ডিকেটের নাম উচ্চারিত হলেও প্রশাসন একবারও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেনি রহস্যজনক কারনে। ফলে একপ্রকার বাধাহীন ভাবেই চলছে ইয়াবা বানিজ্য। স্থানীয় খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রনেও রয়েছে আতাউল্লা সিন্ডিকেটের ইয়াবা। উখিয়া সদরের যুবকদের একাংশও তাদের নিয়ন্ত্রনে। এসব যুবকদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ইয়াবা বানিজ্য করে আতাউল্লা,গিয়াস উদ্দিন ও জালাল কোটি টাকার মালিক বনে গেছে,নামে বেনামে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ জমিজমা। এ সিন্ডিকেটের রয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ী। এসব গাড়ি দিয়েও ইয়াবা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।কিন্ত স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী মহল ম্যানেজ থাকার কারনে তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাউলাই মারমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রশাসন ব্যাপকভাবে তৎপর রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে। ছোট হউক বড় হউক কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তবে উপরের কঠোর নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে প্রশাসন।