প্রকাশিত: ১৫/০৩/২০১৭ ১০:৪১ পিএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
দীর্ঘ ১ মাস ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর উখিয়ায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো সুপার মার্কেট খুলে দিয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে গত মঙ্গলবার ৩২টি দোকানের চাবি হস্তান্তর ও তালা খুলে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মাঝে স্ব:স্তির নিশ্বাস ফিরে এসেছে। এমনকি তাদের পরিবার পরিজনের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মার্কেটের ইজারাদার হাসমত কাশেম আলীম বাদী হয়ে জেলা পরিষদের উচ্ছেদ অভিযান কে অবৈধ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে কনটেম্প পিটিশন করে। যার নং- ৬৯/১৭। গত ১২ মার্চ বিচারপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি আমির হোসনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্জ এক আদেশে উখিয়া ডাকবাংলো সুপার মার্কেট খুলে দেওয়ার রায় দেন। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি ও এডভোকেট মাহফুজুল আলম।

জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারী  উখিয়া জেলা পরিষদ মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ৩২টি দোকানের মালামাল বের করে দিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পিএস ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা কালে কক্সবাজার জেলা পরিষদের উপ-সহারী প্রকৌশলী মো: সাইফু উদ্দিন, সিএ রেজাউল করিমসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান কালে ৩২টি দোকানে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া সহ সিলগালা করা হয় ।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল কোন প্রকার নোটিশ ও মাইকিং না করেই দোকানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় তাদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হয়। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী পূঁজি হারিয়ে পথে বসেছে। অথচ তারা বৈধ ইজারাদার থেকে উপ-ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিল।

ইজারাদার হাসমত কাসেম আলীম বলেন, ২০০৫ সালে জেলা পরিষদের নিয়ম অনুসারে উখিয়া জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের ২৫টি দোকান লীজ নিয়ে যথারীতি মূল্য পরিশোধপূর্বক লীজ গ্রহণ করে।

জেলা পরিষদ নতুন করে দোকান ভাড়া দেওয়ায় নিয়ম বহি:ভূত ও অবৈধ হওয়ায় তা চ্যালেঞ্জ করে লীজ গ্রহীতা বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করে। যার নং- ৬৬৯৯/২০১৫। গত ২৫/০১/২০১৭ইং তারিখ আমার মনোনীত আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় রীটপিটিশন খারিজ হয়। আমি আইনের প্রতিকার চেয়ে গত ৩১/০১/২০১৭ইং তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে আপীল বিভাগে রীটপিটিশন দায়ের করি। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি আমির হোসেন গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রীটপিটিশন গ্রহণ পূর্বক পুন:রায় চালু রাখার আদেশ দেন। অতীব দু:খের সহিত বলতে হয়, মহামান্য হাইকোর্টে রীটপিটিশন বিচারধীন থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ০১/০২/২০১৭ইং তারিখ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় উখিয়া জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের বৈধ ব্যবসায়ীদেরকে উচ্ছেদ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল বাহিরে বের করে দেয়। বাদীর আইনজীবী মাহফুজুল আলম জানান, মার্কেটের ব্যবসায়ীদেরকে উচ্ছেদ ও মালামাল বের করে দেওয়ার ঘটনাকে অবৈধ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে কনটেম্প পিটিশন করলে দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি আমির হোসেন বৈধ ইজারাদার হাসমত কাসেম আলীমকে চাবি হস্তান্তর সহ দোকান খুলে দেওয়ার রায় প্রদান করেন।

 

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...