বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সুত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার জাতিগত নিধনযঞ্জের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া ১০লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত এনজিও গুলোর ব্যবহৃত গাড়ী সংখ্যা বেড়েছে আশংখাজনক ভাবে। এছাড়ও যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় টমটম, ভটভটি, ডাম্পার, চাঁদের গাড়ী, অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সাসহ ৫ হাজারেরো অধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এ সড়কে দিনরাত চলাচল করছে।
যে কারনে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে মারাত্মক ভাবে। গত ১০ মাসে এ সড়কে প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারিয়েছে। সর্বশেষ মে মাসের শেষের দিকে সড়কের জাদিমুরা এলাকায় ডাম্পারের ধাক্কায় সিএনজি উল্টে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি সিরাজুল হক বিএন, জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম নিহত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওয়ান ওয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি এমনিতে সংকুচিত।
যেখানে ২টি গাড়ী পারাপার হয়ে ঝুকি নিতে হয়, সেখানে দৈনিক ১০হাজারের অধিক যানবাহন চলাচল করছে। সড়কপথে পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আর্ম পুলিশ, ব্যাটলিয়ান পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করলেও অদক্ষ, অযোগ্য চালকের কারনে সড়ক দুর্ঘটনারোধ করা যাচ্ছেনা। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশ^ শরনার্থী দিবসের আলোচনা সভায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ কোস্টট্রাস্টের পক্ষ থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি ৪ লেইনে উন্নিত করে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি ৪লেইনে উন্নিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলেও এর আগে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ ও এলজিইডি সড়কটি হাল্কা যানবাহন চলাচলের জন্য বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া জানান, সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সওজ বিভাগের জায়গা দখল করে বিভিন্ন উপায়ে তৈরী করা স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া ছোট বড় খানা খন্দক গুলো সংস্কার করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।