উখিয়া নিউজ ডটকম::
বায়োমট্রিক পদ্ধতিতে সীম নিবন্ধন প্রত্রিুয়া শেষ হলেও বন্ধ হয়নি উখিয়া উপজেলায় ভুঁয়া সীম বিত্রিু।কয়েকটি চিন্থিত দোকানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে এসব ভূঁয়া সীম।এজন্য দামও গুনতে হচ্ছে আসল সীমের চেয়ে দ্বিগুন।এছাড়া রোহিঙ্গা অধ্যুাষিত কুতুপালং বাজারে প্রকাশ্যে ভুঁয়া নিবন্ধনকৃত সীম বিত্রিু হতে দেখা গেছে।এতে রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে চলে গেছে ভুঁয়া আইডি কার্ড দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনকৃত সীম।এসবের অধিকাংশই মোবাইল অপারেটর রবি কোম্পানীর সীম।স্থানীয় রবিসেবার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজের মাধ্যমে কয়েকটি দোকান প্রকাশ্যে ভুঁয়া সীম বানিজ্য চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের কোন মাথাব্যাথা।
সুত্রে জানা যায়,বিভিন্ন অপরাধ প্রবনতা রোধকল্পে বর্তমান সরকারের মহৎ উদ্যোগ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম নিবন্ধন প্রত্রিুয়া জনগনের মাঝে ব্যাপক প্রসংশা কুড়ালেও উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে তার চিত্র ঠিক উল্টো।উখিয়া টেকনাফ এলাকাটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে আসল সীমের চেয়ে ভুয়া সীমের চাহিদা একটু অন্যন্য এলাকার চেয়ে বেশী।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উখিয়াস্থ রবি সেবার কর্মকর্তাদের ম্যানেজের মাধ্যমে ভুঁয়া আইডি কার্ড দিয়ে সীম এ্যকটিভ করে তা রোহিঙ্গা সহ স্থানীয় সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের কাছে বিত্রিু করে যাচ্ছে কয়েকটি চিন্থিত দোকান।এসব চিন্থিত দোকানে ভুঁয়া সীম নিতে সবসময় ভীড় দেখা যায়।কোন প্রকার বায়োমেট্রেক পদ্ধতি ছাড়া এবস সীম চালুও হচ্ছে নতুন সীমের মতো।তবে আসল সীমের চেয়ে ভুঁয়া সীমের দামটা দ্বিগুন।একটি রবি সীম বিত্রিুর বিপরীতে দ্বিগুন লাভের আশায় দোকানীরা আসল সীমের চেয়ে ভুঁয়া সীম বিত্রিুতেই বেশী আগ্রহী।তাছাড়া রবি,র উধ্বর্তন কতৃপক্ষ ও সরকারী কোন সংস্থার এ ব্যাপারে নজরদারী না থাকার সুযোগটাও তারা লুফে নিচ্ছে।ফলে ভুঁয়া সীম বিত্রিু এবস দোকানীরা প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এসব দোকানীরা ভুঁয়া আইডি কার্ডের মাধ্যমে শুধু নতুন সীম বিত্রিু করছে তা নয়,অন্যজনের নামের দীর্ঘদিনের ব্যবহার করা ব্যবসায়ীক সীমও বিত্রিু করে দিচ্ছে।এমনই একজন গ্রাহক উখিয়া উপজেলার হাজীরপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানে ছেলে শামসুল আলম। উখিয়া সদরের একরাম মার্কেটের আলম ক্লখ ষ্টোরের মালিক শামশু জানান,২০১০ সালে একটেল কেয়ার বর্তমানে পরিবর্তনকৃত নাম রবি কোম্পনী থেকে ০১৮১১-৮২১৫৪৭ নাম্বারটি সে কিনে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল,এ সীম দিয়ে সে ব্রাক ব্যাংক,পুবালী ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিয়েছে।ব্যবসায়ীক লেনদেন রয়েছে বিভিন্ন স্থানে।কিন্ত হঠাৎ তার দীর্ঘদিনের সীমটি কে বা কাহারা তুলে নিয়েছে।এ ব্যাপারে উখিয়া সদরের রবি সেবা আমিন সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমি পরামর্শ অনুয়ায়ী উখিয়া থানায় সীমটির ব্যাপারে জিডি করি।যার নাম্বার-৯০৬,তারিখ১৫/১১/২০১৬ইং।জিডি করার পর আবারো রবি সেবায় গেলে আমিন সার্ভিস সেন্টারের মালিক আমিন আমাকে সীমটি বায়োমেট্রিক পদ্ধত্বিতে রেজিষ্টেশন হয়ে গেছে বলে দুব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়।এদিকে ভুঁয়া সীমের অত্যাধিক ব্যবহারের বিষয়ে সুজনের সভাপতি নুর মুহাম্মদ সিকদার বলেন,উখিয়া সদর ও কোটবাজারের চিন্থিত কয়েকটি দোকান ছাড়াও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং বাজারের মুদির দোকানেও ভুঁয়া আইডি কার্ডের রবি সীম প্রকাশ্যে বিত্রিু হচ্ছে ,এতে শরানার্থী রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে চলে গেলে রবি সীম,বেড়েছে অপরাধমুলক কর্মকান্ড। এ ব্যাপারে উখিয়াস্থ রবি অফিসের এরিয়া ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,রবি সেবাসহ কোড পাওয়া দোকানগুলোতে ডিভাইসের মাধ্যমে রবি সীম বিত্রিু হচ্ছে। এখানে দোকানীরা ভুঁয়া আইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ডিভাইসের মাধ্যমে রবি সীম চালু করলেও কিছু করার নেই।তবে সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কোড বাতিল করা হবে।