নির্যাতিত অসহায় নারী ফাতেমা বেগমের নতুন পথচলার সুযোগ পেয়েছে। বেসরকারী একটি এনজিও সংস্থা ব্রাক স্বামী পরিত্যক্ত এই নারীর সাহায্যার্তে তার হাতে একটি গাভী গরু তুলে দিলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দুই জন অবুঝ ছেলে মেয়ের জননী ফাতেমা সংসারে চরম কষ্টে জীবন-যাপন করে আসছিল। আজ গরু পালন তিনি কিছুটা হলেও সাবলম্বী হতে পারবে বলে তার দৃড় আশা ।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা মধুঘোনা এলাকার জসিম উদ্দিনের সাথে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাদেও সংসারে ৫বছরের একজন ছেলে ও ৩বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে গরিব ঘরে জন্ম নেওয়া ফাতেমার উপর যৌতুকের দাবিতে অমানষিক নির্যাতন চালায় লম্পট স্বামী। এক পর্যায়ে বছর তিনেক আগে স্ত্রীকে ফেলে তার স্বামী অন্যত্রে চলে গিয়ে একাধিক বিবাহ করে। স্বামীর ভরণ-পোষণ না পেয়ে স্ত্রী ফাতেমা ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে জীবণ যাপন করছিল। এমনকি ছেলে মেয়েদের খাবার যোগাড় করতে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ঝিয়ের কাজ করত।
এদিকে স্বামী কতৃক নির্যাতিত এই অসহায় মহিলাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বেসরকারী একটি এনজিও সংস্থা ব্রাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচী। সকল হাত এক করি নারী নির্যাতন বন্ধ করি এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে পুনঃবার্সন সহযোগীতা প্রদান অনুষ্ঠান গত বৃহঃষ্পতিবার উখিয়া ব্রাক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির। ব্রাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচীর উপজেলা ম্যানেজার দৌলত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কর্মসূচির জেলা ব্যবস্থাপক রাতুল চাকমা, এরিয়া ম্যানেজার দেবাব্রত চাকমা, প্রিতিময় চাকমা, মোহাম্মদ লাবির হোসেন, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান শেষে স্বামী নির্যাতিত ফাতেমা বেগমকে গাভী গরু প্রদান করা হয়।