রফিক মাহমুদ , উখিয়া::
উখিয়া উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালংয়ের ইমামের ডেইল এলাকার এক অসহায় যুবতীকে বিষ পানে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়েছে তারই প্রেমিকের স্বজনেরা।
গতকাল ২৫ ডিমেম্বর রবিবার বিকালের দিকে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মোঃ শফির বিল এলাকার মোঃ আলমের পুত্র নুরুল আমিন (২২) এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই ইউনিয়নের ইমামের ডেইল এলাকার শামশুল আলমের যুবতী কন্যা ইয়াছমিন আক্তার (১৮) এর সাথে। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দিতে গত ২৫ ডিসেম্বর প্রেমিক নুরুল আমিন তার প্রেমিকা ইয়াছমিন আক্তারকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলে নুরুল আমিনের পিতা-মাতা উক্ত সম্পর্কে কোন প্রকার মেনে নিতে রাজী না হয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য কঠোর ভাবে নির্দেশ দেয়। এদিকে প্রেমিক নুরুল আমিন তার প্রেমিকা ইয়াছমিন আক্তারকে বিয়ে করা ছাড়া বাড়িতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে তার পিতা মোঃ আলম, মাত ও ছোট ভাই শাহাব উদ্দিন (১৯), একই এলাকার ছৈয়দ হোসেনের পুত্র ইমাম হোসেন (৩২) সহ বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছমিন আক্তার উপর চালানো হয় বর্বরোচিত মারধর ও পাশবিক নির্যাতন। ইয়াছমিন অমানবিক নির্যাতনে জ্ঞান হারালে এক পর্যায়ে নুরুল আমিনের পিতা-মাতা ও স্বজনেরা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ইয়াছমিনের মুখে বিষ ডেলে দিয়ে হত্যার করার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা জানতে পেরে পাশ্ববর্তি ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দিলে পুলিশ এসে মুমুর্ষ অবস্থায় ইয়াছমিনকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায় বেডের মধ্যে মুমুর্ষ ইয়াছমিন মৃত্যু যন্ত্রনায় কতরাচ্ছে। ইয়াছমিনের পিতা শামশুল আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে নুরুল আমিন ও তার পিতা-মাতারা মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে বিষ ডেলে দিয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলা রুজু করেছি। ইয়াছমিনের অবস্থা আশংখাজনক বলে কর্তৃব্য চিকিৎসক মেহের আফরোজ জানান।
এব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা সরজমিনে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।