ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২০/০১/২০২৫ ৯:৪৩ পিএম

শিশুকে অপহরণ করে মাটিতে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ওই ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (২১)। তিনি কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি জানান, শিশুকে মাটিতে পুঁতে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনায় নুর ইসলাম সরাসরি জড়িত। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর পুলিশ অপহরণকারীকে আটক করার জন্য নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার বিকেলে ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যা ছিলো:
শিশুটির চোখেমুখে ভয়। গলা পর্যন্ত মাটিতে ডুবে আছে। চাপা দেওয়া হয়েছে শরীরের ওই অংশ। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা ভাষায় শিশুটি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল, ‘আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত গলায় পিল্লে। টিয়া দে। (বাবা দ্রুত চেষ্টা কর, আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে, টাকা দাও)।

এমন একটি ভিডিও গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরপরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিশুটিকে উদ্ধারের আকুতি জানানোর পাশাপাশি এমন বর্বরতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সত্যতা যাচাইয়ে নামে এ প্রতিবেদক। ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও ১০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ধারণ করা। ভিডিওর শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরাকান (৬)। সে থাইংখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের সি ১৫ ব্লকের বাসিন্দা আবদুর রহমান ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে।

৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা–বাবা এই ভিডিও বার্তা পান।নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে এর আগেই তার মা–বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও বার্তা পাওয়ার পর তাঁরা নিশ্চিত হন, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

অপহরণকারীরা আরাকানের মুক্তির বিনিময়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী দেখিয়ে দেওয়া স্থানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন আরাকানের স্বজনেরা। এতেও আরাকানকে না ছাড়ায় ধারদেনা করে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন তাঁরা। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালের সামনে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা

পাঠকের মতামত

শক্ত হাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন: সালাহউদ্দিন আহমদ

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ...

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ : রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু

: আমেরিকা ফার্স্ট নীতিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ...