এর আগে ৯টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এতো একবারও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবে ১০তম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ ।
চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্টে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এতে ১-১ সমতায় শেষ হলো টেস্ট সিরিজ।
শেষ টেস্টের এখনো বাকি আছে আরো দুই দিন। তবে তর আগেই টাইগাররা তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক জয়। মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বিষাক্ত ঘূর্ণিতে বিশাল ব্যবধানে হার মানতে হয় ইংলিশদের। এ জয়ে বল হাতে অনন্য অবদান রাখেন মিরাজ। তিনি একাই তুলে নেন ৬টি উইকেট। এছাড়া সাকিব আল হাসানও ৪ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে ইংলিশ ওপেনার কুক এবং ডাকেট যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের দেওয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাদের সামনে কিছুই না। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট ১০০ রানের জুটি গড়েন। এরপর চা বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরেই ইংলিশ শিবিরে হানা দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৬৪ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৬ রান করা ডাকেটকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই জো রুটকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন ইমরুল আর সাকিব। দুইজন মিলে ৪৮ রানে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ২০০ রানের লিড এনে দেয়। তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন।
ব্যক্তিগত ৭৮ রান করে মঈন আলির বলে এলবিডব্লিও হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল। ইমরুলের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিকের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল টাইগার সমর্থকরা। তবে দুইজনই হতাশ করলো। আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে সাকিবের (৪১) বিদায়ের পরের ওভারেই স্টোকসের বলে কুককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন মুশফিকও (৯)।
এরপর শুভাগত হোমের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে আদিল রশিদের দ্রুত গতির সোজা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন সাব্বির রহমান।
মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে তাইজুল, মিরাজ আর রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে আরও ২৮ রান তোলে শুভাগত। এতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৬। আর ইংলিশদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৭৩ রানের।