আমাদের প্রাণ প্রিয় গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার অনুষ্ঠানে সময় দিতে পেরে বেশ ভাল লেগেছে। আজ (২৮.০১.২০১৭ ইং) ছিল দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান। এই মাদরাসা আজ একযুগ পেরিয়ে গেছে তার শিক্ষা বিস্তারে। সেই অন্ধকার গ্রামে বেশ আলো ছড়িয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। তাই বলতে হয় এটি যেন একটি আলোর মিনার।
গত ১২ বাছর সফলতার সাথে এই মাদরাসা থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা দাখিল পরক্ষিা দিয়ে বরাবর ভাল ফলাফল করেছে। এবারো ৪৩ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে।
অন্ধকার এলাকায় এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে অনেক মানুষের ত্যাগ, শ্রম, মেধা, দান-অনুদান, দোয়া ও শেষ রাতে মহান রবের নিকট কান্না। তাই এটি এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যপানে। তবে উখিয়ার অন্যতম সেরা এই প্রতিষ্ঠানটি এখনো সরকারের এমপিও ভূক্ত হতে পারেনি। মন্ত্রী পরিষদ সচিব জনাব শফিউল আলমের নানার বাড়ির গ্রাম হিসেবে তিনি এই মাদরাসা ভিজিটও করেছেন।
উখিয়া টেকনাফের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব অব্দুর রহমান বদিও তাঁর নানা শ্বশুর বাড়ির পাশের এই শ্ক্ষিা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শ করেছেন। মাদরাসার উন্নয়নে অনেক সহযোগিতাও দিয়েছেন তিনি। এমপিওর ব্যাপারে তিনি একাধিকবার ডিও লেটারও দিয়েছেন। এমনকি একপর্যায়ে এই মাদরাসাটি এমপিও ভূক্ত করার দায়িত্বও নিয়েছেন এমপি বদি সাহেব। তিনি একটি ভবনও লিখে দিয়েছেন মাদরাসার জন্য।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপারে যেভাবে অন্তরিক। এতে করে আমরা আশাকরি গয়ালমারা দাখিল মাদরাসাটি খুব তাড়াতাড়ি এমুপও ভূক্ত হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আবুল মনছুর চৌধুরী এর সভাপতি। আমরা সবাই তার সাথে হাল ধরেছি। আমাদের বিশ্বাস এটি একদিন ডিগ্রীমানের একটি সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে-ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জমিদাতা আলহাজ্ব আব্দুল করিম চৌধুরী, বিশিষ্ট মুরুব্বী ও জমিদাতা (আমার বাবা) আলহাজ্ব আসায়াদ আলী, মাদরাসার প্রতষ্ঠিাতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আহমদ কবির, মাদরাসার সুপার স্নেহভাজন মাওলানা দিল মোহাম্মদ ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন আমার সাথে।