ডেস্ক রিপোর্ট::
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সবসময় একইভাবে হয় না। উল্টো ভাবেও ফিরে আসে তা। এবার ইতিহাস উল্টোভাবে ফিরে আসল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচে। বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে আর্জেন্টিনাকে গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপে এই প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় পেল ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এবমাপে। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন আতোয়াঁ গ্রিজমান ও বেঞ্জামিন পাভার্ড। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল তিনটি করেছেন ডি মারিয়া, গ্যাব্রিয়েল মারকাদো ও সার্জিও আগুয়েরো।
শনিবার ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যেত পারত ফ্রান্স। কিন্তু ফ্রি কিক থেকে গ্রিজমানের নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ১১ মিনিটে বল নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে ঢুকে যান কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে বাধা দেন মার্কোস রহো। ট্যাকেলের শিকার হয়ে পড়ে যন এমবাপে। ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। আর স্পটকিক থেকে গোল করতে মোটেও ভুল করেননি আতোয়াঁ গ্রিজমান। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
ম্যাচের ২১তম মিনিটে আবার ফি কিক পায় ফ্রান্স। দ্রুত গতিতে ডি-বক্সে ঢুকতে যাওয়া এমবাপেকে থামাতে গিয়ে ফাউল করেন নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো। দেখেন হলুদ কার্ডও। কিন্তু পল পগবার শটটি বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
তবে গোল খেয়ে খেলায় ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টিনা। গোছানো আক্রমণে ফেরে তারাও। যদিও এখনো খোলস ছেড়ে বের হননি মেসি। কিন্তু ম্যাচের ৪১ মিনিটে ৩০.২ গজ দূর থেকে দারুণ এক গোল করেন ডি মারিয়া। চলতি বিশ্বকাপে যা সবচেয়ে বেশি দূরত্ব থেকে করা গোল।
ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গোছানো এক আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করেন মেসি। আর মারকাদোর পায়ে লেগে বল চলে যায় ফ্রান্সের জালে।
এর ৩ মিনিট পর ফরাসিতে সমতায় ফেরান পাভার্দ। লুকাস হার্নান্দেজ কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল পাঠান জালে।
এরপর কিলিয়ান এমবারের ৪ মিনিটের ম্যাজিক। ৬৪ মিনিটে করেন প্রথম গোল। আর ৬৮ মিনিটে অলিভার জিরুর বাড়ানো বল থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।
তবে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি আক্রমণে গিয়েছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। সর্বশেস যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে হেড থেকে গোল করে ব্যবধান কমান আগুয়েরো।