প্রকাশিত: ০৮/০৮/২০১৬ ৭:৪২ এএম

mapছৈয়দুল আমিন চৌধুরী, টেকনাফ::
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে সম্প্রতি চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা গ্রামে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হওয়াতে আতঙ্কে রয়েছে জন সাধারণ। গেল রাতসহ চলতি সপ্তাহে নগদ টাকা, বিভিন্ন মালামালসহ  ২০ লক্ষের অধিক টাকা চুরি হয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগিরা জানান। জানা গেছে, দিবাগত গভীর রাত্রে (৬ আগস্ট) সংবাদকর্মী হারুন সিকদারের বাড়িতে ঢুকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, দুইটি এন্ড্রয়েট, একটি নরমাল মোবাইল সেট চুরি করে নিয়ে যায় চুরের দল। একই রাত্রে একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে নুর মোহাম্মদের বাড়ি থেকে জাল ২টি, নগদ ৩০ হাজার টাকা, হোয়াইক্যং আমতলী এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে হানিফ হোছনের বাড়ি থেকে নগদ ১৪ হাজার টাকাসহ মালামাল, মৃত সিকদার আলীর ছেলে আবুল কাসিমের বাড়ি হতে নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৪ টি মোবাইল সেট, মৃত কালা মিয়ার ছেলে সৈয়দ আলম সওদাগরের বাড়ি হতে নগদ ১০ হাজার টাকা, ২ টি মোবাইলসেটসহ মালামাল চুরি করে চুরের দল। হোয়াইক্যংয়ের আমতলী, চাকমাপাড়া, পুলিশ ফাঁড়ীর পাশের এলাকা সরেজমিন জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে  আক্কেল আলীর ছেলে আবুল কাসিম ও মোবারকের বাড়ি হতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণ, নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও কাপড় চোপর, আব্দু শুক্কুরের ছেলে গুরা মিয়ার বাড়ি হতে নগদ টাকা ও মালামাল, লালু চাকমার ছেলে ক্লাসিংয়ের বাড়ি হতে নগদ ১ লক্ষ টাকা ৪ টি মোবাইলসেট, মৃত মকবুল আহমদের ছেলে আবু ছিদ্দিকের বাড়ি হতে নগদ টাকা ও মালামাল,  মৃত মোছা মিয়ার ছেলে শাহ আলমের বাড়ি হতে নগদ টাকা- মালামাল, লম্বাবিল এলাকার মৃত ফকির আহমদের ছেলে কালা মিয়া প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল, মৃত কবির আহমদের ছেলে শামসুল আলম কালু বাড়ি, মৃত বাছা মিয়ার ছেলে নুরুল আলমের বাড়ি, মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হাকিমের বাড়ি থেকে নগদ টাকা বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগিরা। লম্বাবিল এলাকার মৌ সাব্বির আহমদ বলেন, সম্প্রতি চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ইয়াবাসেবী।  বখাটেরা গভীর রাতে ইয়াবাসহ নানা মাদক সেবন করে পরবর্তী সেবনের জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নানান বাড়িতে চুরি করে। তাদের একটি বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে বলেও জানান তিনি। আমতলী এলাকার মৌ জয়নাল আবেদীন ও আবুল কাসেম জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাঁচা বাড়িতে সিঙ্গা ( গর্ত করে) দিয়ে চুরি করে। আবার  পাকা বাড়িতে দরজা- জানালা খোলা রাখার সুযোগে ঢুকে বসে থাকে গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে চুরি করে নিয়ে যায়। হোয়াইক্যং ইউপি মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা চৌধুরী লালু  চুরি বন্ধ করতে জন সাধারণকে সাথে কাজ করবে বলে জানান তিনি। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি হারুনর রশিদ সিকদার বলেন, হোয়াইক্যং ফাঁড়ীতে স্থায়ীভাবে ইনচার্জ না থাকার সুযোগে  ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের চিহ্নীত করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিলে চুরের উপদ্রব কমে যাবে বলে জানান তিনি। হোয়াইক্যং ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসুদ মুন্সি কেবল ফাঁড়ীতে যোগদানের একটি দিন অতিবাহিত করেছে জানিয়ে বলেন, আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নসহ সব ধরণের অপকর্ম কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল ...