প্রকাশিত: ১২/১০/২০১৭ ৮:০২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৩ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান যখন পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে এবং এখনও প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, তখন দেশটির শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের হাতের পুতুল অং সান সু চি’র দল দেশটির রাজধানীর এক স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার নতুন এক ”সার্কাসের” আয়োজন করে।

এ উপলক্ষে ওইদিন স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার মানুষকে জড়ো করা হয়। তাঁরা রাখাইন রাজ্যে শান্তির জন্য প্রার্থনা করে। এতে বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা অংশ নেয়। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে। তবে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা স্বেচ্ছায় এসেছে নাকি তাদের আসতে বাধ্য করা হয়েছে তা জানা যায়নি। জানা যায়নি কথিত মুসলিম-অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও।

বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের ”অনেকের হাতে” অং সান সু চি’র ছবি ছিল।

ধর্মীয় নেতারা তাঁদের বক্তৃতায় শান্তি ও বন্ধুত্বের কথা বলেন। ইয়াঙ্গনের প্রধান বৌদ্ধ ভিক্ষু ইধিবালা কৌশলে রোহিঙ্গাদেরও দায়ী করে বলেন, ‘‘একে অন্যকে হত্যা করা, একে অন্যকে অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’’

বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নামার সময় তিনি অবশ্য মুসলিম নেতা হাফিজ মুফতি আলীর সঙ্গে হাত মেলান। পরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আলী বলেন, ‘‘নাগরিকদের একে অন্যের বন্ধু হয়ে দেশের জন্য কাজ করা উচিত।’’

সু চি’র দল এনএলডির সংসদসদস্য উইন মাউং দাবি করেন এই অনুষ্ঠান নাকি বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, মিয়ানমারে সব ধর্মের মানুষ ”শান্তিতে” বসবাস করছে।

তবে ”মিয়ানমারের সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস” করলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা কেন নিজেদের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে, সে বিষয়ে সংসদসদস্য উইন মাউং কিছু বলেছে কি না তা জানা যায়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে

পাঠকের মতামত