প্রকাশিত: ০১/০৯/২০১৭ ৭:৩৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:১৭ পিএম

ঢাকা: মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পামে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানী ও মানবিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বালাদেশের আমীর আল্লমা শাহ আহমদ শফী।

বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। আল্লামা শফী মায়ানমারের আরকানে মুসলিম নারী ও শিশু নির্যাতন এবং নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধের দাবী জানিয়ে বলেছেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বৌদ্ধসন্ত্রাসী ও সরকারী বাহিনী যৌথভাবে সরাসরি হত্যাকান্ড চালাচ্ছে।

বিবৃততে তিনি আরো বলেন, বর্তমান হত্যাকান্ড অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে মর্মান্তিক ও মর্মন্তুদ। বার্মার মগসন্ত্রাসীদের পৈচাশিক আর নির্মমতার কোন নজীর দুনিয়াতে নেই।

বিবৃততে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে নদীতে ভাসছে মায়ানমারের নির্যাতিত মুসলমান শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ নারী পুরুষের বিকৃত লাশ। মায়ের সামনে মেয়েকে, মেয়ের সামনে মাকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারী বর্বর বাহিনী। তারা মুসলমানদের ঘর বাড়ি, মাদরাসা ও মসজিদগুলি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, শিশুসহ সব বয়সী মানুষদেরকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারছে, এমনকি জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতেছে। এরা সন্ত্রাসী, খুনি, এরা মানবতার শত্রু।

বিবৃততে তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের ভাই বোন। এরা সন্ত্রাসী নয়, নিপীড়িত অসহায় মজলুম। এদের আশ্রয় দেয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

তিনি রোহিঙ্গা নির্যাতিত অসহায় মানুষদেরকে আশ্রয় দেয়ার জন্য সরকরের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলিম মা বোনদের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলায় মেতে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে সোচ্চার হোন, কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করুন। মানবতার শত্রুদের মোকাবিলায় বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও রাষ্ট্রগুলোকে শামিল করুন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে  পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। এদের সাহায্য করুন। তাড়িয়ে দিয়ে আল্লাহর গজব ডেকে আনবেন না।

আল্লমা শাহ আহমদ শফী জাতিসংঘ ও আইসিকে মায়ানমারের এই সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের জন্য জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মুসলমান হওয়াটাই কি আরাকানের নির্যাতিত নাগরিকদের অপরাধ? যে নির্যাতন আজ আরাকান চলছে তার শতভাগের একভাগও যদি কোনও মুসলিম দেশে অমুসলিমদের ওপর করা হতো তাহলে বিশ্বসংস্থা ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের শক্তিধর দেশগুলো এভাবে নীরব ভূমিকা পালন করতো ? তাই, আরকানে মুসলিম গণহত্যার উসকানিদাতা অং সান সুচির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস বিরোধী আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...