প্রকাশিত: ০৬/০৮/২০১৭ ৯:১৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৩৬ পিএম

বাবা মালয়েশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। জন্মের পর থেকেই তিনিও বিলাসবহুল জীবন ভোগ করে আসছেন।

চাইলে কোটিপতির ঘরেই পরবর্তী ঠিকানা করে নিতে পারতেন। কিন্তু ভালোবাসার জন্য সাধারণ এক ছেলের হাত ধরে ‘রাজপ্রাসাদ’ ছাড়লেন রাজকন্যা অ্যাঞ্জেলাইন ফ্রান্সিস খু। বলতে মহল ছেড়ে চলে এলেন ‘ফুটপাতে’। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের ওয়েলসে।

মালয়েশিয়ার জন্ম হলেও ২০০১ সালে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন খু। ২০০৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার সময়ই জেদিদিহ ফ্রান্সিস নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে প্রেম। ফ্রান্সিসের জন্ম ক্যারিবিয়ানে। তিনি পেমব্রোক কলেজের ডেটা বিষয়ক গবেষক।

কিন্তু তার কোটিপতি বাবা যে এই সম্পর্ক মেনে নিবেন না ভালো করেই জানতেন খু। তা সত্ত্বেও তাঁদের সম্পর্কের কথা বাবাকে জানান। ক্ষুব্ধ বাবা না বলতে সময় নেননি। ফলে খু-য়ের সামনে দুটি রাস্তা খোলা ছিল। এক, ফ্রান্সিসকে ভুলে যাওয়া আর দুই, বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁকে বিয়ে করা।

কিন্তু বাবার বিরুদ্ধে যাওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ সেক্ষেত্রে বিসর্জন দিতে হত তাঁর এত দিনের অভ্যাসকে। বিসর্জন দিতে হত তাঁর বিলাসবহুল জীবনকে। খু সেটাই করলেন। ফ্রান্সিসের ভালবাসার সঙ্গে যে আর কোনোসম্পদের তুলনা করা যায় না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন। প্রাসাদ, সম্পত্তি সমস্ত ছেড়ে হাত ধরে নিলেন ফ্রান্সিসের।

সম্প্রতি তাঁরা বিয়ে করেছেন। বন্ধুবান্ধবসহ মোট ৩০ জনকে নিয়ে পেমব্রোক কলেজ ক্যাম্পাসেই এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। নব দম্পতি বর্তমানে কলেজের লজে থাকেন। পড়াশুনার পাশাপাশি একটা চাকরিও খুঁজছেন খু।

পাঠকের মতামত