প্রকাশিত: ২১/০৬/২০১৭ ৯:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৫৫ পিএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়া সমুদ্র উপকূলীয় ইনানী বনবিভাগের সরকারী সংরক্ষিত জায়গায় নতুন নতুন বসতি গড়ে উঠার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বনভূমি জবর দখল করে রাতারাতি বসতি গড়ে তুললেও বনবিভাগের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বনভূমি বে-হাত হয়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। ইনানী বিট অফিসার জাকের হোসেন, জবরদখলের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টি কমলেই উচ্ছেদ অভিযান করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার উপকূলীয় ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন ইনানী বনবিটে বিস্তৃর্ণ সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে। ইতি মধ্যে অসংখ্য বনভূমি জবরদখল হলেও অতিসম্প্রতি আশংকাজনক হারে বে-দখল বেড়ে চলছে। স্থানীয় কতিপয় মহল বনভূমির জায়গা জবরদখল করে প্লট তৈরি এবং মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে তা বিক্রি করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ইনানী বনবিটের মোহাম্মদ শফির বিল এলাকায় দুই একরের মত বিশাল সরকারী জায়গা জবরদখল করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মৃত শফর মুল্লুকের ছেলে নুরুল আলম নামক এক ভূমিদস্যু ভারী বর্ষনের সুযোগে রাস্তার ধারে লাগোয়া বনভূমির জায়গায় ঝুঁপড়ি ঘর তৈরি করে উক্ত জায়গা জবরদখল করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ভূমিদস্যু নুরুল আলমের ছেলে সোলেমান ও নুরুচ্ছফা সন্ত্রাসী কায়দায় প্রকাশ্যে বনভূমির বিশাল জায়গা জবরদখল করে রাখলেও বনবিভাগ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ইনানী বিট অফিসার মো: জাকের হোসেন বলেন, সরকারী বনভূমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তৈরি করে জায়গা জবরদখলের ঘটনাটি আমরা অবগত হয়েছি। তবে বৃষ্টি একটু কমলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ জবরদখলকারীদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এভাবে জবরদখলের প্রতিযোগিতা ও বসতি গড়ে উঠবে অছিরেই ইনানী বনভূমি হুমকির সম্মুখিন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

পাঠকের মতামত