প্রকাশিত: ১১/০৪/২০১৭ ৬:৪৫ এএম , আপডেট: ১৩/০৪/২০১৭ ৭:১৪ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

মাস ছয়েক আগেও মাইক্রোবাসের হেলপার ছিলেন, হয়েছিলেন হেলপার থেকে চালক। মাইক্রো নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সুবাধে তার সাথে পরিচয় ঘটে দেশের বিভিন্ন স্থানের ইয়াবা গড়ফাদারদের সাথে,সেই থেকে শুরু,আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।ইয়াবা নয়,যেন সোনার ডিম পাড়া হাস তার হাতে ধরা দেয় তার। অল্প সময়ে বিপুল সম্পদ ও গাড়ী বাড়ীর মালিক বনে যায় সে। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম সে গাড়ির হেলপার থেকে ইয়াবা বানিজ্যে করে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে । নাম তার আবুল হোসেন,স্থানীয়ভাবে আবুল্লা নামেই পরিচিত। উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি মালিয়ারকুল গ্রামের নুরুল আলমের পুত্র আবুল্লার উত্তানটা এককথায় বিস্ময়কর। ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছে সে। নামে বেনামে ক্রয় করেছেন অঢল সম্পদ। কিনেছেন অর্ধকোটি টাকা দিয়ে প্রাইভেট নোহা গাড়ী। স্থানীয়দের মতে,খয়রাতি মালিয়ারকুল এলাকাটি বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ঘাটি হিসেবে পরিচিত, উখিয়ার পরিচিত ইয়াবা গড়ফাদারদের অনেকেই এ দুটি পাড়ায়। রাত হলে বাড়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী গাড়ির ঝলকানি। প্রশাসন এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে জানেনা তা কিন্ত নয়। এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কারনে স্থানীয় যুবসমাজ সহ ছোট ছোট অবুঝ শিশুরাও ভিন্ন পথে বাড়াচ্ছে বলে তাদের অভিমত। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তার সিন্ডিকেটের গডফাদারদের নিয়ে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় ২০ কোটি টাকা দামের ইয়াবা তৈরির মিশিন ক্রয় করে তার গ্রামের বাড়ী উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মালিয়াকুল নামক এলাকার গভীর জঙ্গলে স্থাপন করার প্রস্তুতি করা হবে। শুধু তাই নয়, উখিয়ার বিখ্যাত ইয়াবা মার্কেট নামে খ্যাত ডাক বাংলো মার্কেটে প্রতি নিয়ত তার পাচার কাজে নিয়োজিত শতাধিক পাচারকারীরা সব সময় প্রস্তুত থাকে। সীমান্ত এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবার চালান এসে ডাক বাংলো মার্কেট এলাকায় পৌছলে। ওই খান থেকেই তাদের পাচারকারীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উক্ত ইয়াবা পাচার কারে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। উল্লেখ্য সে সম্প্রতি ইয়াবা সহ আটক হয়ে দীর্ঘ দিন জেল হাজতেও ছিলেন বলে জানা গেছে। এভাবে প্রকাশ্যে তৎপরতা চালালেও সে অজ্ঞাত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

 

পাঠকের মতামত