প্রকাশিত: ২২/০১/২০১৭ ৯:৩৭ পিএম
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর তীরে এভাবেই পড়ে ছিল ধর্ষণের শিকার তরুণী। ইনসেটে অভিযুক্ত সামায়ুন মিয়া। ছবি : এফএনএস
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর তীরে এভাবেই পড়ে ছিল ধর্ষণের শিকার তরুণী। ইনসেটে অভিযুক্ত সামায়ুন মিয়া। ছবি : এফএনএস

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নে প্রেমের প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। এমনকি তাকে মারপিট করে কুশিয়ারা নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা জানান, এক বছর আগে গ্রামের সামায়ুন মিয়ার (২৫) সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সামায়ুন তাঁর মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে মেয়েটি সামায়ুনকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু সামায়ুন কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সামায়ুন কৌশলে তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সে মেয়েটিকে তার বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণ করে নদীর পাড়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন মেয়েকে নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে তিনিসহ গ্রামের লোকজন মেয়েকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার পর সামায়ুন আত্মগোপন করেছে। বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিঠুন রায় জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না।

পাঠকের মতামত