প্রকাশিত: ১৯/১২/২০১৬ ৭:৩২ এএম

নগরীর বাকলিয়া বলিরহাট শাহজীপাড়ায় শনিবার দিবাগত রাতে আগুনে পুড়ে গেছে ছয় বসতবাড়ি। আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন দুইজন। তারা হলেন : সৈয়দ হোসেন ও তার স্ত্রী নাহিদা সুলতানা রিনা। তবে তাদের দু’বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আজিয়াত হোসেন সাবা বেঁচে আছে। আগুনে ছয়টি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুল হক, নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার মোস্তাইন হোসাইন, বাকলিয়া থানার পরিদর্শক আবুল মনসুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে সর্বস্ব হারানো মানুষগুলো বসে আছে খেলা আকাশের নীচে। বাতাসে ভেসে আসা পোড়া মাটির গন্ধ তখনো লাগছে নাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ জানান, বলিরহাটে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন তিনি। রাত পৌনে দু’টায় তিনি বাসায় ফিরেন। প্রতিবেশী লোকজনের চিৎকারে তিনটার সময় ঘরে থেকে বের হয়ে দেখেন পার্শ্ববর্তী আনোয়ারের রান্নাঘরের অংশ থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পড়লে কাঠমিস্ত্রি এসহাক, দর্জি জাকির হোসেন, ফার্নিচার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, প্রবাসী নুর হোসেন, মঞ্জু ও সেকান্দরের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরমধ্যে নুর হোসেনের সাথে একই ঘরে থাকতেন নিহত সৈয়দ হোসেনসহ অপর দুই ভাই।
আনোয়ার হোসেন বলেন, বলিরহাটের একটি দোকানে আমি ফার্নিচার মিস্ত্রির কাজ করি। খাওয়া দাওয়া করে রাত দশটায় আমি ঘুমিয়ে যাই। লোকজনের চিৎকারে ঘুম থেকে বের হয়ে দেখি ঘরের পশ্চিম উত্তর কোনে আগুন লেগেছে। ঐ অংশে রান্নাঘর ছিল বলে জানান আনোয়ার।
নিহত সৈয়দের বড়ভাই নুর হোসেন বলেন, আমি দুবাইপ্রবাসী। আগামী ২২ ডিসেম্বর আমার ছেলের বিয়ে। অনুষ্ঠানের সব কেনাকাটা শেষ করা হয়েছে। আগুনে সব কেড়ে নিল।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, আনোয়ারের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভোর চারটায় আগুন লাগার খবর পেয়ে কালুরঘাট ও লামার বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে চারটি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পাঠকের মতামত