প্রকাশিত: ০৯/১২/২০১৬ ৮:০০ এএম

চকরিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া দুই বছরের এক শিশুকে ৩২ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে পৌরসভার করাইয়াঘোনাস্থ অপহরণকারী রাশেদের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, এর আগে বিকাশ এজেন্টকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণ চক্রের আরেক সদস্যকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী অপহরণ চক্রের হোতা রাশেদের বাড়ি থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। শিশুর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস মাহি (২)। সে শ্রীমঙ্গল জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বেড়াচড়া গ্রামের মো. আশিকের কন্যা। তারা স্ব-পরিবারে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অপহরণ চক্রের হোতা চকরিয়া পৌরসভার করাইয়াঘোনা গ্রামের বশির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২২), চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িপুকুর গ্রামের মৃত জহির আহমদের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও বিকাশ এজেন্ট চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িপুকুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৫)। শিশু মাহির বাবা মোহাম্মদ আশিক বলেন, ‘চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার কাছে বাসাবাড়ির সামনে ওই শিশু খেলছিল। বুধবার সকাল আটটার পর থেকে মাহির কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকঘণ্টা পর অজ্ঞাত স্থান থেকে মুঠোফোনে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এর পর বায়েজিদ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে মামলা দায়ের করি। এর পর শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে।’

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম জানান, চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে বুধবার সকাল আটটার দিকে ওই শিশুকে কৌশলে অপহরণ করে চকরিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এর পর মুঠোফোনে পরিবারের সদস্যদের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় মাহির বাবা আশিক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-১৮) করেন।

কামরুল আজম বলেন, ‘মুঠোফোনে মুক্তিপণ চাওয়া হয় এবং সেই টাকা দেওয়ার জন্য একটি বিকাশ নম্বরও দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ওই বিকাশ নম্বরের স্থান শনাক্ত করার পর আজ (গতকাল) দুপুর বারোটার দিকে রুদ্ধশ্বাস অভিযান শুরু করি। প্রথমে বিকাশ এজেন্ট সোহেলকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যমতে অপহরণ চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর এবং রাশেদকে গ্রেপ্তার করি। একইসঙ্গে রাশেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ভিকটিম জন্নাতুল ফেরদৌস মাহিকে।’

চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিশুটিকে উদ্ধারের পর বায়েজিদ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামিদেরও সোপর্দ করা হয়।’

পাঠকের মতামত