প্রকাশিত: ২১/১০/২০১৬ ৮:৫৫ পিএম

এম.বশিরুল আলম,লামাঃ

লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে প্রায় ২০টির মত ইটভাটায় প্রতি বছর ১০ কোটি ইট উদপাদন ও বাজারজাত হয়। উৎপাদিত এসব ইট থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ঠিকভাবে রপ্তানী কর পাচ্ছে না। বিগত দিনে ইউপি চেয়ারম্যান সবকটি ইটভাটা থেকে রপ্তানী করের নামে বার্ষিক ১৮/২০ লাখ টাকা উত্তোলন করতেন। কিন্তু ইট উৎপাদন ও পরিবহন খাত থেকে পরিষদে রপ্তানীকর আয় দেখাতেন ২/৩ লাখ টাকা (!)। এদিকে চলতি বছর সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে নেতৃত্বে পরিবর্তন এসে নতুন পরিষদ গঠিত হয়। হালনাগাদ গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ জুন/১৬ তারিখে ইটের রপ্তানী কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নিলেও ইটভাটা মালিকদের অসহযোগিতায় কয়েক মাস তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে অনুমোদনহীন ২০ টিরমত ইটভাটা থেকে বছরে গড়ে ৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। প্রতিটি ইটভাটা থেকে সরকার ভ্যাট পাচ্ছে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে। বিভিন্ন খাতকে ম্যানেজের জন্য প্রতি ভাটা থেকে ১৫ লাখ করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আদায় করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, ভাটা মালিকরা এই ইউনিয়নে ইটভাটার মাধ্যমে সার্বিক ক্ষতি করে নিজেরা ব্যবসা করে যাচ্ছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নে রপ্তানী কর পরিশোধে ব্যবসায়িরা কার্পুন্যতা করে চলছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেক দেনদরবারের পর, অবশেষে সেপ্টেম্বর/১৬ থেকে প্রতি হাজার ইট থেকে ৩০ টাকা করে আদায় করা শুরু হয় বলে চেয়ারম্যান জালাল কোম্পানী জানান।

জানাগেছে, প্রতি বছর ফাইতং ইউনিয়নে সব কটি ইটভাটা থেকে ১০ কোটি ইট উৎপাদন হয়। প্রতি হাজারে ৩০ টাকা করে ১০ কোটি ইট থেকে বছরে ৩০ লাখ টাকা রপ্তানী কর আদায় করা সম্ভব। কিন্তু বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বার্থান্ধতায় সম্ভাবনাময় এ আয়ের উৎস থেকে কাঙ্খিত অর্থের মুখ দেখিনি পরিষদ। ফলে পরিষদ ও ইউনিয়নবাসিরা সম্ভাব্য অনেক উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জানাযায়, বিগত ৭ বছর আগে লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নের একাংশ চাম্বী ও ফাইতং মৌজার ১৬ হাজার একর ভুমি নিয়ে “ফাইতং” নাম করণে ইউনিয়নটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইউনিয়টিতে উল্লেখযোগ্য ২টি বেসরকারি বাজারসহ, ২০ হাজার জনবল ও ৭৫০০ ভোটার, পাড়া বা মহল্লার সংখ্যা রয়েছে শতাধিক। ছোট ছোট উঁচুনিচু পাহাড় সমুহের ঢালু ঘেঁষে টুকরো টুকরো সমতল ভুমি নিয়ে ইউনিয়নটি বৈশিষ্ট মন্ডিত। পাহাড় সমুহে রাবার বাগান, ফলফলাদিসহ নানান জাতের গাছ-গাছালী সবুজ তরঙ্গ খেলছে।

ইউনিয়নবাসিরা জানায়, ফাইতং ইউনিয়নের সবুজ প্রকৃতি আর সুন্দর পাহাড় অচিরেই হারিয়ে যাবে, সরকারের সংশ্লিষ্টরা নজরদারি না করলে। মাঝে মাঝে বন্য হাতির আক্রোমন আর পাহাড় ধ্বসে বিপর্যয় নেমে আসে ইউনিয়ন জুড়ে। চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কোম্পানী জানান, ইউনিয়নটিতে জনসংখ্যা কম ও আকারে ছোট হলেও আয়ের অনকেগুলো সোর্স রয়েছে। রাবার, তামাক, মৌসুমী ফলফলাদি, ধান, কলা, পেপে, কাঠ-বাঁশ, ছাড়াও বছরে প্রায় ১০ কোটি ইট উৎপাদন হয় এখানকার ইটভাটাগুলোতে। সঠিকভাবে রপ্তানী কর আদায় করা হলে, ইউনিয়নে সরকারি উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে ছোট-খাট রাস্তাঘাট-কালর্ভাট করে দেয়া সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত

উখিয়ার থাইংখালীর আলাউদ্দিন ও ছাত্তার সিন্ডিকেটের মাটিভর্তি ডাম্পার জব্দ

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গৌজঘোনা এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় সাবাড় করছে মো. আলাউদ্দিন ও ...

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...