প্রকাশিত: ২০/১০/২০১৬ ৭:৩৪ এএম

শাহীনশাহ, টেকনাফ
কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে কর্মরত উপজেলা প্রাণী সম্পদ সহকারি (ইউএলএ) মিচবাহ উদ্দিন কুতুবীর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা করে গবাদিপশু মেরে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গবাদিপশুর মৃত্যুতে ষাট হাজার টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষিজীবির। ওই ইউএলের শাস্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষিকের  ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানিয়েছেন এলকাবাসী। জানা যায়, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা কাইম্যারঘোনা গ্রামের কৃষিজীবি সুলতান আহমদের ছেলে মুহাম্মদ ফারুকের গাভী সামন্য পাতলা পায়খানায় অসুস্থ ছিল। পাশ্ববর্তী চিকিৎসাকারী মহিষের মালিক মকতুল হোসেনের কাছ থেকে চিকিৎসক মিচবাহ উদ্দিন কুতুবীর পরিচয় মিলে। এ সূত্রে ধরে ফারুক তার গৃহপালিত গাভীকে এ চিকৎসকের শরণাপন্ন করে। এ সময় চিকিৎসক তাকে কোন সমস্যা  হবেনা বলে জানিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসার ১ম দিনে গাভীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়। দুই দিন পর একটি ইনজেকশন পুশ করলে ঘন্টাখানের মধ্যে গাভী মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। পাশাপাশি ওই মহিষের মালিকও দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করিয়ে মহিষের কোন উন্নতি হয়নি বলে জানান মকতুল হোসেন। তিনি আরো বলেন, পাঁচ হাজার টাকাও গেল, বর্তমান মহিষটি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ দিকে ফারুক জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন যে, ইউএলএ মিচবাহ উদ্দিন গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভুল ইন্জেকশন প্রয়োগ করে তার একটি গাভীকে মেরে ফেলেছে। মিচবাহ উদ্দিন চিকিৎসা দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই গাভীটি মারা যায়।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই ইউএলএ মিচবাহ উদ্দিন নিজেকে একজন পশু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করে থাকেন। তার বেশভূষা ও উচ্চশিক্ষিত পশুসম্পদ কর্মকর্তার মতো।

মুহাম্মদ ফারুক তার গাভীকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলার ঘটনা তদন্ত করে মিচবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাকে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে ফারুক বলেন, ওই চিকিৎসক নিজেকে সবচেয়ে বড় ডাক্তার পরিচয় দেন এবং তার রয়েছে ব্যক্তিগত সহকারী।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য মিচবাহ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাগান্বিতভাবে বলেন, আমি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবো না। আমার বিরুদ্ধে যেখানে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেখানেই আমার বক্তব্য দিবো। পাশাপাশি অভিযোগে কি ব্যবস্থা হয় অপেক্ষা করতে বলেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগের বিষয়ে বিধিসম্মতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...