প্রকাশিত: ১৬/০১/২০২০ ৭:১৬ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিপীড়নের ঘটনায় চলতি মাসেই মিয়ানমার সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হতে যাচ্ছে। তবে প্রতিবেদনে দেশটির সেনাবাহিনীকে আদৌ অভিযুক্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মী ও স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা।

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রাণে বাঁচতে ওই সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগ তোলে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নির্মূলের প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করা হয়। মিয়ানমার এই গণহত্যা বা জাতিগত নির্মূলের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানিতে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনী কোনো নির্যাতন চালালে তদন্ত সাপেক্ষে দেশীয় আদালতে জড়িতদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক খিন মং বলেছেন, ‘গণহত্যাকারী মিয়ানমার সরকারের গঠিত তদন্ত কমিশনকে আমরা বিশ্বাস করি না। কারণ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত যে কোনো অপরাধ তদন্তে সরকার আন্তরিক নয়’।

আল-জাজিরা অনলাইন জানিয়েছে, রোহিঙ্গা নির্যাতনে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় রয়েছে।

এর কারণ হচ্ছে, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র জ হতে বলেছিলেন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী যে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তার জবাব দিতেই কমিশন গঠন করা হয়েছে।

কমিশনের প্রধান ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোজারিও মানালো বলেছেন, ‘কমিশন কাউকে দোষারোপ করবে না’।

ইয়াঙ্গুনভিত্তিক স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন বলেছেন, স্বাধীন তদন্ত কমিশন হচ্ছে কিছু নির্যাতনের দোষ স্বীকার করে , রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দোষারোপ করে সেনাবাহিনীকে দোষমুক্ত রাখার একটি প্রয়াস এবং এর মাধ্যমে বলা যে, পশ্চিমাদের প্রতিবেদন বানোয়াট’।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...