প্রকাশিত: ১৮/১১/২০১৯ ৫:১৬ পিএম
ওসি প্রদীপ

ডেস্ক রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা দমনে আলোচিত টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদিপ কুমার দাশ এবার এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে দিলেন না।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন কাউন্সিলে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হাম জালাল সভাপতি নির্বাচিত হয়েও সেই পদ রক্ষা করতে পারলেন না। ওসি প্রদিপের আপত্তির মুখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই কাউন্সিলের কার্যক্রম বাতিল করে জেলা আওয়ামী লীগ।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে গত ১৫ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজা শাহ আলম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলম, মো. শফিক মিয়া, সোনা আলী, ইউনুস বাঙ্গালী।

টেকনাফ বায়তুস শরফ সেন্টারে কাউন্সিল অধিবেশনে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী মাদক ও হত্যাসহ ১০টি মামলার আসামি হাম জালাল সভাপতি প্রার্থী হন। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে হাম জালালের বিষয়ে আপত্তি জানান ওসি প্রদিপ কুমার দাশ।

মাদক ব্যবসায়ী হাম জালালের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে সে দুইবার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার খবরটি প্রমাণসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে জানান ওসি প্রদিপ।

ওসির আপত্তিতে গতকাল রোববার জরুরি সভা করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে হাম জালালকে অবৈধ ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা দলে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী হাম জালাল ছিলেন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের প্রথম এসাইন্টমেন্ট। হাম জালালের বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদিপ দাশ জেলা আওয়ামী লীগকে আপত্তি জানায়। হাম জালালের মামলার সব তথ্য বিবরণ দেয়। ওসির কাছে তথ্য পেয়ে রোববার জরুরি সভা ডেকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ওই কাউন্সিল বাতিল করা হয়। কাউন্সিলের ইয়াবা ব্যবসায়ী হাম জালালকে সভাপতি নির্বাচিত করার বিষয়টিও বাতিল হয়।

এ বিষয়ে ওসি প্রদিপ কুমার দাশ বলেন, ‘হাম জালাল একজন শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার। তার পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসায়ে জড়িত। হাম জালাল মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে নিজেই বিক্রি করে। ইয়াবা বিক্রির সময় সে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও টেকনাফে দুইবার হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়। তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘হাম জালাল যদি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়, তাহলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অন্য ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হাম জালালের মতো সরকার দলীয় পদে বসে যাবে। তাই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যাতে কোনভাবেই ক্ষমতাবান হতে না পারে সেই জন্য হাম জালালের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগকে জানায়।’

ওসি আরো বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার। তাই তারা সাথে সাথে কাউন্সিল বাতিল ও হাম জালালের পদকে অবৈধ ঘোষণা করে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রমাণ করেছেন তারা ইয়াবার বিষয়ে সোচ্ছার।’

সুত্র- পরিবর্তন

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...