প্রকাশিত: ২১/০১/২০১৯ ৩:০৯ পিএম

বার্তা পরিবেশক::

 সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল / মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত একটি সংস্থা, যা সরকারের সকল আইন ও নীতিমালা মেনে কাজ করে। এমএসএফ ২০০৭ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় কাজ করছে, এবং বাংলাদেশী ও শরণার্থী উভয় জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। জনগণের স্বাস্থ্যচাহিদা বিবেচনা করে, সরকারের অনুমতিক্রমে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প বা কার্যক্রম চালু কিংবা বন্ধ করে থাকি, এবং সেক্ষেত্রে মানব সম্পদ (হিউম্যান রিসোর্স বা এইচ.আর.)-এর আপোষহীন নিয়মাবলী মেনেই সব কাজ করা হয়। এমএসএফ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের যেমনঃ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কাছে নিয়মিত ভিত্তিতে তার কার্যক্রম ও মানব সম্পদের বিবরণের প্রতিবেদন দাখিল করে। নতুন কোন কার্যক্রম বা প্রকল্প শুরুর সময় আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করি, যেখানে অভিজ্ঞতা, পদবীর মেয়াদ ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নির্ণীত দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হয়। যখন একটি কার্যক্রম শেষ হয় ও প্রকল্পের লক্ষ্য সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হয়, তখন আমরা সেটি বন্ধ করে দেই কিংবা সরকারি বা বেসরকারী কোন সংস্থার কাছে তা হস্তান্তর করি।

কক্সবাজারে এমএসএফ-এর ২০০০-এরও বেশী বাংলাদেশী স্টাফ চারটি ক্লিনিক, পাঁচটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ছয়টি হেলথ পোস্টে ডাক্তার, নার্স, ধাত্রী, এডমিনিস্ট্রেটর ইত্যাদি বিবিধ পদে কর্মরত আছেন। আমাদের রয়েছে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কন্ট্রাক্টে কর্মরত স্টাফ এবং দৈনিক কার্যক্রমের জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবী। স্টাফদের কন্ট্রাক্ট শেষ হয় প্রকল্প বা কার্যক্রমের মেয়াদানুসারে, তাদের জায়গায় রোহিঙ্গাদের চাকুরী দেয়ার জন্য নয়।

বহু বছর ধরেই এমএসএফ উখিয়া ও কক্সবাজারের মানুষদের স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে, তাঁদের অনেকেই এমএসএফ-এর হেড কোয়ার্টার ও প্রজেক্ট অফিসের সাধারণ পদ থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...