প্রকাশিত: ১৭/০৫/২০১৯ ১:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি

বাংলাট্রিবিউন::
ফেনীতে প্রায় আট লাখ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই মাহফুজ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ওই ইয়াবা পাচার মামলায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান এএসআই’র সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন। ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ওই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

জবানবন্দিতে তোফাজ্জল জানান, ফেনীতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়ার আরও বছর খানেক আগে ঢাকায় এএসআই মাহফুজের সঙ্গে তার ইয়াবা ব্যবসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান নিয়ে সে বিক্রিও করেছে। ৬০-৬৫ লাখ টাকার একটি চালান নিয়ে মাহফুজ ধরা পড়ে।

তোফাজ্জল কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার পঞ্চবটি রেলওয়ে ছোট পুকুর পাড়ের বাসিন্দা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেনীর আদালতে তোফাজ্জল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

র‌্যাবের দেওয়া তথ্য মতে, গ্রেফতারের পর এএসআই মাহফুজ জানিয়েছিলেন, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে চাকরির সুবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে তার। তার নোট বই থেকে ১৪ জনের সঙ্গে ২৮ কোটি ৪৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

আদালত সূত্র জানায়, এএসআই মাহফুজুর রহমান ২০১৫ সালের ২১ জুন ভোরে গাড়িতে যাওয়ার সময় ফেনী সদরের লালপুর এলাকায় একটি শিশুকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ওই গাড়ির পিছু ধাওয়া করে র‌্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ধরে ফেলেন। এ সময় তার গাড়ি থেকে সাত লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির নগদ সাত লাখ টাকা, চারটি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন ব্যাংকের আটটি ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়

পাঠকের মতামত

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...