প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০১৮ ১১:৪৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৪৩ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
মিয়ানমার সেনা, বিজিপি ও রাখাইন উগ্রবাদীদের চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী শিবিরে পলিথিনের ঝুঁপড়িতে বসবাস করছেন। উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিতরা সরকারি-বেসরকারি সুবিধা পেলেও এভাবে অনিশ্চিত জীবনযাপন তাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অস্থায়ী বসবাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কায় স্বদেশে ফিরে যেতে চান তারা। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের ৮ মাস পার হয়ে গেলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে মিয়ানমার সরকার।

মঙ্গলবার কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়া, মধুরছড়া, ময়নারঘোনা, তাজনিমারখোলা আশ্রয় শিবির ঘুরে সেখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আবু ছিদ্দিক ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ নূর জানায়, তাদের ক্যাম্পে নতুন পুরাতন মিলে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। বর্ষায় পলিথিনের ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী রোহিঙ্গা বলেন, সর্বশেষ ১৬ ফেব্র“য়ারি দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৬৭৩ পরিবারে ৮০৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে হস্তান্তর করেছে। মিয়ানমার ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩৭৪ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও কখন, কীভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি তারা। ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। তবে কখন, কীভাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে তার কোনো দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত এখানে যাতে মানবিক বিপর্যয়ে না পড়ে সেদিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মিয়ান আয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। মিয়ানমারমন্ত্রী সেখানে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তবে কীভাবে, কখন তাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন রোহিঙ্গারা।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...

ইসলামপুরে আটক রোহিঙ্গা যুবককে কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তর

জামালপুরের ইসলামপুরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার মো. রোবেল (২২) নামের সেই রোহিঙ্গা যুবককে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ের ট্রানজিট ...