প্রকাশিত: ২৩/১০/২০২০ ১২:৫৭ পিএম , আপডেট: ২৩/১০/২০২০ ১:০৩ পিএম

কক্সবাজার প্রতিনিধি::
৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত, মানছেন না পর্যটকরা
চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের কারণে কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল রয়েছে সাগরও। যে কারণে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেড়াতে এসেও অনেকে হোটেল কক্ষে বন্দি রয়েছেন।

এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেকার সময় পার করছেন সৈকতের সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার ও হকার।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের কথা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে হোটেলে বন্দি অনেক পর্যটক। আবার অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেমে পড়ছেন সৈকতের পানিতে। তারা ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত মানছেন না।

ইমরান আহমেদ নামের এক পর্যটক বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ এটা জানতাম। কিন্তু কক্সবাজার এসে এতো পরিস্থিতি খারাপ হবে এটা জানতাম না। বৃহস্পতিবার থেকে হোটেলেই বসে দিন কাটিয়েছি। কিন্তু অবশেষে শুক্রবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে চলে এলাম।’

রিয়া নামে এক পর্যটক বলেন, ‘কিছু ভাল লাগছিল না। তাই বৃষ্টিতে ভিজে সৈকতের বালিয়াড়ি হাঁটছি আর সৈকতের বিশাল বিশাল ঢেউ উপভোগ করছি।’

রিয়াদ, আমিন ও সাদ্দাম বলেন, ‘সৈকতে গোসল করতে নেমে পড়েছিলাম। কিন্তু লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ গোসল করতে দিলেন না। তারা নিরাপত্তার কথা বলে সৈকত থেকে উঠিয়ে দিলেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আর আনন্দ করা গেল না।’

পর্যটক আগমনের ওপর নির্ভর করে সংসার চলে সৈকতের ফটোগ্রাফার ও হকারদের। কিন্তু দুদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেকার রয়েছেন তারা।

শুক্কুর নামের এক ফটোগ্রাফার বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া সব শেষ করে দিল। বৃষ্টির কারণে পর্যটকরা সৈকতে কম নামছে। ফলে পর্যটকদের ছবি তুলতে না পেরে মার্কেটে বসে আছি।’

শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ী সিরাজ আহমদ বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেচা-বিক্রি বন্ধ। এখন দোকান খুললেও পর্যটকের দেখা নেই। গত দুইদিনই বেচা-বিক্রি শূন‌্য।’

আর ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় সৈকতে পর্যটকদের নামতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লাইফ গার্ড কর্মী।

সি-সেইভ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির জানান, গভীর নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজারকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আর পর্যটকদের সৈকতে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। মাইকিংও করছি। কিন্তু অনেক পর্যটক নিষেধ অমান্য করে সৈকতে নেমে পড়ছে। তারপরও চেষ্টা করছি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে যেতে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, গভীর নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আগামী দুই/একদিন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক পর্যটক। সুত্র: রাইজিং বিডি

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...