প্রকাশিত: ২৯/১১/২০১৭ ৭:১১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:২৩ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২৫ বছর পূর্ণ করছে কক্সবাজারের অন্যতম শীর্ষ উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সিটি কলেজ। এই সুদীর্ঘ সময়ে এই কলেজ অনেক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। কলেজও সেই ছোট্ট পরিসর থেকে আজ মহীরূপে পরিণত হয়েছে। এই কলেজ সৃষ্টি করেছে অনেক কৃর্তিমানের। যাঁরা দেশে-বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। সব মিলে এই অঞ্চলের এক বৃহৎ ও স্বমানধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে এই কলেজ। অর্জনের ২৫ পূর্তি উপলক্ষ্যে রজত জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে কক্সবাজার সিটি কলেজ। আগামী ২০১৮ সালের ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি রজত জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। রজত জয়ন্তী উৎসব উৎযাপনের কর্মযজ্ঞ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রজত জয়ন্তী উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হবে। দু’দিন ব্যাপী এই উৎসব উদযাপন করা হবে। প্রাক্তন ও বর্তমান মিলে মোট পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মহামিলনের টার্গেট নিয়ে উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপনের জন্য গঠন করা হয়েছে আহবায়ক কমিটি। কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান আকতার চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু মধ্য দিয়ে পুরো কর্মযজ্ঞের সূচনা করা হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে।

তথ্য মতে, দু’দিন ব্যাপী রজত জয়ন্তী উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে উদযাপন করা হবে। প্রথম দিনে বিশাল র‌্যালীর মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা হবে। পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হবে বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে থাকবে গান, নাটিকা, কৌতুক, নৃত্য, ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ব্যান্ড শোসহ বিভিন্ন ইভেন্ট। দ্বিতীয় দিনে অত্যন্ত জাঁকজমভাবে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এরপর এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত আলোচনা সভায় একজন শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রী প্রধান অতিথি থাকবেন। প্রধান বক্তা থাকবেন দেশ বরণ্য এক শিক্ষাবিদ। এছাড়াও শিক্ষার্থীরাসহ বিপুল শুভানুধ্যায়ী অংশ নেবেন। পরে প্রীতিভোজ, স্মৃতিচারণ, জাতীয় মানের শিল্পীদের পরিবেশনায় বিভিন্ন ধরণের গান ও ব্যান্ড শো পরিবেশন করা হবে। এই উৎসবে কলেজের অবদান রাখা ব্যক্তিবর্গ, প্রাক্তন শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা দেশকে আলোকিত করেছেন তাদের এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা দেয়া হবে।

দু’দিনের রজত জয়ন্তী উৎসবকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসকে সপ্তাহজুড়ে আলোক সজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে। এর আগে কলেজের অবকাঠামো তৈরি, সংস্কার, মাঠ তৈরি করণ, নূতন আঙ্গিকে শহীদ মিনার গঠন, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্লাশ মোভ, কলেজের অভ্যন্তরীণ সড়ক প্রসস্তকরণ, বাগান তৈরিসহ নানাভাবে সৌন্দর্য্য বর্ধন করা হবে। এই সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

রেজিস্ট্রেশন: রজত জয়ন্তী উৎসবে অংশ নিতে হলে প্রতিটি প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীকে নিবন্ধন করতে হবে। আপাতত কলেজ প্রাঙ্গনে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। এই জন্য বসানো হয়েছে নিবন্ধন বুথ। প্রাক্তনদের জন্য নিবন্ধন ফি ১০০০ টাকা এবং বর্তমানদের জন্য নিবন্ধ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। অতি শিগগিরই অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হবে। তখন যেকোনো স্থানে বসে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনসহ পুরো উৎসব সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে জানতে হলে কলেজ অফিস অথবা উৎসব বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়কের (০১৭১১-৩১৫১৭১) সাথে যোগাযোগ করা যাবে।

সার্বিক প্রসঙ্গে রজত জয়ন্তী উৎসব বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আকতার চৌধুরী বলেন, ‘রজত জয়ন্তী উৎসবে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক মহামিলনের সেতুবন্ধন রচনা হবে। সবাই এই উৎসবকে উপলক্ষ্য করে আনন্দ-উচ্ছ্বা ও আবেগ- এই তিনটি জিনিসকে নিয়ে তারা প্রস্তুত হয়ে আছে। আমরা আশা করছি আমাদের রজত জয়ন্তী উৎসবে কমপক্ষে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধনের আওতাভুক্ত হবে। এমন একটা অনুষ্ঠান হবে যা ৫০ বছরের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের পাবে না। এই অনুষ্ঠান হবে কক্সবাজারের স্মরণকালের এক শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠান। এই লক্ষ্যে আমরা সিটি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারী- সবাই কাজ করে যাচ্ছি। যাতে একটা সুন্দর উৎসব উপহার দিতে পারি।’

কক্সবাজার সিটি কলেজে অধ্যক্ষ কথিং অং বলেন, ‘ক্ষুদ্র যাত্রা দিয়ে শুরু হয়ে কক্সবাজার সিটি কলেজ আজ উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। এই কলেজ তৈরি করেছে অনেক আলোকিত মানুষ; যারা দেশের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। মূলত কলেজের সুদক্ষ পরিচালনা কমিটি, দক্ষ ও আন্তরিক শিক্ষকদের দ্বারাই তা সম্ভব হয়েছে। রজত জয়ন্তী উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের সফলতাকে উদযাপন করবো। ২৫ বছর পূর্তির প্রাক্কালের কলেজের উন্নতির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানাই। আগামীতেও সবাইকে সাথে পাবো এই প্রত্যাশা করছি।’

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...