প্রকাশিত: ২০/০৭/২০১৮ ২:৩৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৯ এএম

ডেস্ক নিউজ- বালিশের বিকল্প হিসেবে ২৩০ বছর ধরে কম্বল ব্যবহার করে আসছিলেন বাংলাদেশে কারাবন্দীরা। অবশেষে এই প্রথম বন্দীদের ঘুমানোর জন্য দেশের কারাগারগুলোতে তুলার বালিশ সরবরাহ করা হচ্ছে।

১৭৮৮ সালে ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে প্রথম একটি ‘অপরাধী ওয়ার্ড’ তৈরি করা হয়, যা পরবর্তীতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নীত হয়। কিন্তু সেখানে শুরু থেকেই বন্দীদের ঘুমানোর জন্য কোন বালিশ দেয়া হতো না। দেশের সবগুলো কারাগারে এই নীতি অনুসরণ করা হয়।

তার বদলে প্রত্যেককে তিনটি করে কম্বল, একটি প্লেট ও একটি গামলা দেয়া হতো বলে এআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানিয়েছেন। শুধু ডিভিশনপ্রাপ্ত ও হাসপাতালে ভর্তি বন্দীরা বালিশ ও মশারি ব্যবহার করতে পারেন।

তিনটি কম্বলের একটি বিছানোর জন্য, আরেকটি ভাঁজ করে বালিশের মতো ব্যবহার করা এবং অন্যটি গায়ে দেওয়ার জন্য।

তবে এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে আগামী অক্টোবর থেকে সকল বন্দীকে পর্যায়ক্রমে বালিশ সরবরাহ করা হবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৬৮টি কারাগারে বন্দীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।

কারা সূত্রে জানা গেছে, ‘বন্দীদের আরামে ঘুম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই কারা প্রশাসন একটি করে বালিশ সরবরাহের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৪২০টি তুলার বালিশ ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়াও ৫০ হাজার ৩৫৫টি বালিশ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি বালিশের ক্রয়মূল্য কভারসহ তিনশ টাকা।’

আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আরামদায়ক ঘুমের জন্য বালিশ অন্যতম একটি উপাদান। তাই মানবাধিকার রক্ষায় ও বন্দীর সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই প্রথমবারের মতো বন্দীদের আরামদায়ক তুলার বালিশ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

পাঠকের মতামত

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...