ডেস্ক রিপোর্ট::
১০ লাখ পিস ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এসপি-ওসিসহ চার পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রুলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
কক্সবাজারের আলোচিত ওই ঘটনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হলেন সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন, কক্সবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম (আগে কক্সবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে ছিলেন), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন (আগে কক্সবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক) ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এই রুল দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রশ্নে রুল জারির পাশাপাশি ১০ লাখ পিস ইয়াবা বিক্রি কেন বেআইনি হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।’
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘১০ লাখ ইয়াবা বড়ি বেচে দিয়েও বহাল ১২ পুলিশ’ শিরোনামে গত ২২ জুলাই প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে ২৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
পাঠকের মতামত