প্রকাশিত: ২৮/০৯/২০১৮ ৮:৩৮ এএম

ডাঃ মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

হাড় ক্ষয় মূলত একটি সমস্যা,যা হাড়ের মূল গঠন উপাদান অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ার কারণে বা উভয় কারণেই ঘটতে পারে। এর প্রভাবে হাড় স্বাভবিকের তুলনায় অধিক পরিমাণে দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং সামন্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। কানণগুলোঃ যখন শরীরের হাড় স্বাভাবিকের চেয়ে কম মিনারেল ধারণ করে তখন তা কম শক্তিশালী থাকে এবংসেই সঙ্গে ভিতরের ক্ষয়ের পরিনাণওবাড়ে। তরুণদের ক্ষেএে নতুন হাড় তৈরির মাএা হাড় ক্ষয়ের চেয়ে বেশি এবংবয়স্কদের

ক্ষেএে হাড় ক্ষয়ের মাএা হাড় তৈরির চেয়ে বেশি। তারপরও হাড় ক্ষয়জনিত ক্ষতি অনেক অল্প বয়সেওশুরু হতে পারে। কারণ হাড়ের সর্বোচ্চ ঘনত্ব সাধারণত ২৫ বছরের মধ্যে চূড়ান্ত মাএায় পৌছে। কাজেই এই সময়ের ভিতরে শক্তিশালী হাড় গঠন খুব জরুরি,যাতে হাড় পরবর্তী জীবনে শক্তিশালী থাকে।

যে কারণে হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বাড়েঃ ৬০ বছর বা তদূ্ধর্ব পুরুষের তুলনায় মহিলাদের অবস্হান অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

পরিবারের অন্য সদস্যদের হাড় ক্ষয়ের ইতিহাস থাকা,জীবনের তৃতীয় দশকে সর্বোচ্চ হাড়ের ঘনত্ব কম থাকা,অল্প বয়সে মাসিক ব্ন্ধ হওয়া বা স্বল্প ওজন এবং কায়িক পরিশ্রমহীনতা অতিমাএায় কোমল পানীয় গ্রহণ; হেপারিন,কর্টিক,স্ঠেরয়েড বা খিঁচুনি রোধক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন; হাইপার করটিসনিসম,গোনাডাল হরমোনের স্বল্পতা,থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের আধিক্য,হাড়ে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ঝুকির কারণ হাড় ক্ষয়ের লক্ষনঃ প্রাথমিক অবস্হায় কোন লক্ষণ প্রকাশ না করে পরে ক্ষয়জনিত কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশি এবং হাড়ের ভোঁতা ব্যথা বিশেষত শরীরের ওজন বহনকারী জোড়া যেমন মেরুদন্ডের হাড়,কোমর অথবা ঘাড়ে ব্যথা; শরীরের পিছনের অংশে মেরুদন্ডের তীব্র ব্যথা,শরীরের উচ্চতা হ্রাস পাওয়া,শারীরিক গঠন বা উচ্চতার বিকৃতি বা বিচ্যুতি,স্বল্প আঘাত বা দুর্ঘটনাতেই মেরুদন্ড ইত্যাদি।

* রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষাঃ শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের এক্সরে বোন মিনারেল ডেনসিটি।

* প্রতিরোধে করণীয়ঃন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের গাইট লাইন অনুযায়ী অস্ঠিওপোরোসিস প্রতিরোধে এিশোধর্ব প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম ১২০০মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামও ৪০০-৮০০আইইউ ভিটামিন-ডি গ্রহণ,প্রতিদিন মাংসপেশি সুদৃঢ়করণ এবংরওজন উওোলক ব্যায়াম,নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম,ধূমপান সস্পূর্ণরূপে বর্জন,অতিরিক্ত মদ্যপান পরিহার,খাদ্যভ্যাস নিয়ন্তণ ওঅতিরিক্ত ওজন হ্রাস।

* হোমিওপ্রতিবিধানঃ রোগ নয় রোগিকে চিকিৎসা করা হয়। এই জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসকে রোগীর পুরা লক্ষন নির্বাচন করে হাড় ক্ষয়ের রোগীর চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে আল্লাহর রহমতে এই সব রোগী গুলা হোমিওতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঘন যে সব ওষুধ নির্বাচন করে থাকেনঃ এরাম ট্রাইফাইলাম,ক্যালমিয়া,ন্যাজা,জিম্কাম মেট,আয়োডাম,প্যারিস,এসিড ফ্লুয়োরিক,লাইসিন,স্ট্রামোনিয়াম,ল্যাকেসিস,আর্নিকা,কোবাল্টাম,সাইলিসিয়া,রাস টক্স সহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে।
লেখক,
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো- চেয়ারম্যান, হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
[email protected]
01822869389

পাঠকের মতামত