প্রকাশিত: ২২/০৩/২০১৮ ৩:২৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:০৮ এএম

গত ১৮ মার্চ বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় ‘যৌনতার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের এাণ বিতরনের অভিযোগ স্বীকার করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় । যা তথ্যগতভাবে সঠিক নয় । ওয়ার্ল্ড ভিশনের কোন কর্মকর্তা হাইতিতে ভুমিকম্প বিধ্বস্তদের সহায়তায় পরিচালিত কর্মকান্ডে যৌনতার বিনিময়ে এাণ দেয়ার সাথে জড়িত ছিল না।
যদিও হাইতি ভুমিকম্পের পরবর্তী ওয়ার্ল্ড ভিশনের এাণ কার্যক্রমের সবকিছু হয়তো সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়নি । তবে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির মাধ্যমে , এ সংক্রান্ত ওয়ার্ল্ড ভিশনের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনায় আমাদের অবস্থান সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি ।
ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং তার সহযোগী উন্নয়ন সংস্থা সমুহ দ্বারা পরিচালিত ‘ক্যাশ ফর ওয়ার্ক – ২০১০-১১’ প্রকল্পের কয়েকটি মুল্যায়ন থেকে সরকার পরিচালিত ক্যাম্পের কিছু অসংগতির বিষয় যেমন -স্বজনপ্রীতি, যৌন হয়রানি এবং তথ্য সংগ্রহের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে ।
যৌন অভিযোগের বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিস্তারিত অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে , প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তা যৌন হয়রানি বা কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত ছিল না। বরং কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবক এবং ক্যাশ ফর ওয়ার্ক এর উপকারভোগীরাই এর সাথে জড়িত। যৌনতার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা কমিউিনিটি নেতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । আর তাদেরকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে ক্যাম্পে বসবাসরত কমিউনিটির লোকজন । ক্যাশ ফর ওয়ার্ক পোগ্রামের তালিকাভুক্ত উপকারভোগী হিসেবে তাদের কেউ কেউ দৈনিক ভাতাও পেতেন । কিন্তু ওয়ার্ল্ড ভিশন তাদেরকে নির্বাচন করেনি বা নিয়োগও দেয়নি ।

এই বিষয়টি চিহ্ণিত হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড ভিশনের পদক্ষেপ সমুহ-
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ , অংশীদারি প্রতিষ্ঠান ও দাতাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়।
ক্যাম্প লিয়াজন কর্মকর্তার মাধ্যমে উপকারভোগীদেরকে তাদের অধিকার এবং যৌণ হয়রানি /শোষন প্রতিরোধের বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
ক্যাম্পে একটি সুরক্ষা ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে যে কোন প্রকার যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এবং সংস্থার কর্মীদেরও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অনেক প্রশিক্ষন দেয়া হয় ।
ছবি সম্বলিত পরিচয় পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করা হয় যাতে করে উপকারভোগীদের সাথে যে কোন প্রকার দুর্নীতি ও শোষন এর ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায় ।

হাইতির যৌন কেলেঙ্কারী সম্পর্কিত ওয়ার্ল্ড ভিশনের সকল তথ্য অ্যাকাউন্টিবিলিটি রিপোর্ট ২০১১ ও ২০১২ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় যা ডেইলি মেইলের (লন্ডন ভিত্তিক পত্রিকাটি প্রথম এ রিপোর্ট প্রকাশ করে) প্রতিবেদকের কাছেও পাঠানো হয় । পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া এ বিষয়ে সংশোধিত সংবাদও প্রকাশ করেছে ।

শিশু ও যে কোন বয়সের মানুষের প্রতি যে কোন ধরনের যৌন নিগ্রহ ও শোষনের তীব্র নিন্দা জানায় ওয়ার্ল্ড ভিশন । শিশুদের প্রতি ওয়ার্ল্ড ভিশনের কোন কর্মকর্তা বা স্বেচ্ছাসেবকের যে কোন ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা ও অবস্থান অত্যন্ত কঠোর ।
যৌন সহিংসতা ও শোষনে প্রতিরোধ ওয়ার্ল্ড ভিশনের রয়েছে বিশদ নীতিমালা ও নির্দেশনা। আমাদের রয়েছে কর্পোরেট কোড অব কন্ডাক্ট, হয়রানি প্রতিরোধ ও শিশু সুরক্ষা নীতিমালা এবং যৌন হয়রানি ও শোষন প্রতিরোধ কর্মপন্থা ।
আমরা আমাদের অগ্রভাগের কর্মকর্তাদের শিশু, ঝুঁকিপূর্ন গ্রুপ এবং স্টাফদের যৌন হয়রানি চিহ্নিত ও প্রতিরোধের বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে থাকি ।
প্রায় দশ বছর ধরে সততা ও সুরক্ষার বিষয়ে একটি হটলাইন প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন । ( রিপোর্ট করার জন্য : http://worldvision.ethicspoint.com অথবা ফোন করার জন্য: +১-৫০৩-৭২৬-৩৯৯০)

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আমাদের সহযোগী ও অংশীদারীদের অকুন্ঠ সমর্থনের জন্য আমার তাদের ধন্যবাদ জানাই । । তাদের সহায়তায় আমরা হাইতি ভুমিকম্পে পর ২০ লাখ মানুষের জন জরুরী আশ্রয় , ৯০ হাজার মানুষের জন্য পানি সহায়তা দিতে পেরেছি। আমার প্রায় ৩০ টি শিশু বান্ধব কেন্দ্র স্থাপন করেছিলাম । ৩ লাখ মানুষের জন্য কলেরা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা প্রদান এবং ১২ টি অস্থায়ী স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক পরিচালনা করেছি।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বিশ্বাস করে শিশুদের জন্য জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী বিনির্মান করা সম্ভব। অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো অতীতের কর্মকান্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে তা আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুকিপুর্ন শিশুদের জন্য ভবিষ্যতের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড ভিশনকে তা আরও সহায়তা করবে।

যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ :
শৈবাল সাংমা
ডিরেক্টর, কমিউনিকেশনস, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ
ফোন : +৮৮ ০১৭১১ ৫৪৩৫০৭, +৮৮ ০১৭৮১ ৪৯১৫৩৬
ইমেইল : [email protected]

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...