প্রকাশিত: ২২/০৭/২০১৭ ২:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২৭ পিএম

সেলিম উদ্দীন ঈদগাঁও::
চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের চলছে হাই প্রোফাইল চাঁদাবাজি। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চালকরা। হাইওয়ে পুলিশের কাছে চালকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তাদের কাছ থেকে রেহায় পায়নি ডেলীভারি রোগীর গাড়িও। ননষ্টপ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি রুহুল আমিন ও সহকারি উপ-পরিদর্শক সেলিমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব কাজ তাদের জন্য নির্ধারিত, তা না করে তারা আটক বাণিজ্য চালাতে পছন্দ করেন।
জানা গেছে, মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে সাধারন যাত্রী, পরিবহন মালিক- শ্রমিকদের অভিযোগের শেষ নেই। পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশ প্রতিটি পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র দেখার নামে চাঁদা নেয়। কাগজপত্র সঠিক না পেলে তারা কোনো না কোনো অজুহাতে টাকা আদায় করেই ছাড়ে। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর দেয়া হয় মামলা। তারা মহাসড়কে যান চলাচল নিশ্চিত করার চেয়ে নির্দিষ্ট স্পটে দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। সড়কে দায়িত্বরত দিনের পেট্রোল পার্টি প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি স্থানে আর রাতের পেট্রোল পার্টি অন্য একটি স্থানে অবস্থান নিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। হাইওয়ে সড়ক দিয়ে অবৈধ মালামাল পাচার হলেও এসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
উপজেলার খুটাখালী বাজার থেকে আভ্যন্তরিণ সড়ক গুলোতে চলাচলকারী সিএনজি চালকরা জানিয়েছেন, উপ-পরিদর্শক সেলিম পুলিশ ভ্যান নিয়ে মহাসড়ক ও আভ্যন্তরিণ সড়ক থেকে সিএনজি ও টমটম গাড়ি আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে চালকদেরকে সন্ধ্যার দিকে দেখা করতে বলে। চালকরা ফাঁড়িতে গেলে প্রতিটি গাড়ি ৭ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়। যারা যোগাযোগ করেনা তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। এভাবে আটক বাণিজ্যের নামে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী বলেন, নতুন অফিস বাজারের আভ্যন্তরিণ সড়ক থেকে সিএনজি অটোরিক্সা টমটম আটক করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ। পরে সিএনজি সমিতির নেতাদের মাধ্যমে চাহিদা মতো চাঁদা দিয়েই গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ সড়কে চলাচলরত সিএনজি, টমটম গাড়ি থেকে টোকেনের মাধ্যমে মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা আদায় করেন। প্রতিমাসে একটি গাড়িকে ৫শত টাকা হারে টোকেন মানি দিতে হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী চালকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ফাঁড়িতে সব ধরণের কার্যক্রম চলে আইসির নির্দেশে। তবে আটক সিএনজি ও টমটম গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়না এটা সঠিক নয়।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচলে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব গাড়ি আটক করা হচ্ছে। তবে গাড়ি আটকের পর উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল ...