প্রকাশিত: ০৬/১২/২০১৯ ৪:২৬ পিএম

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দ্বিতীয় ধাপে ২০১৭সালের ২৫শে আগস্ট বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।তাদের সংখ্যা ছিলো দুই বছর আগে প্রায় ১২লাখ।বর্তমানে প্রায় ১৪-১৫লাখ হবে।বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের করুণ অবস্থা দেখে আশ্রয় প্রদানে সহায়তা করেন।
বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সেবায় দেশী বিদেশি বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি এনজিও সংস্থা নিয়োজিত রয়েছে।তাদের রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণে।তারা যাতে ক্যাম্প ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কিন্তু আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে যে সেটা কে-ই বা জানতো…?
বর্তমানে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ডাকাতি,ইয়াবা ব্যবসা থেকে শুরু করে তারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।প্রতিনিয়ত মরণনেশা ইয়াবা নিয়ে আটক হচ্ছে এসব রোহিঙ্গারা।লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে।যা অদূর ভবিষ্যতে অশনি সংকেত বয়ে আনবে।
বিগত কিছুদিন আগে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্যাম্পে ব্যবসায়িক কাজে বের হলে তাকে মারধর করে টাকা লুটাপাট করে কুতুপালং এ আশ্রিত কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
সম্প্রতি গতকাল ৫ই ডিসেম্বর কুতুপালং এ ইউসুফ নামের এক স্থানীয়কে কুপিয়ে জখম করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
এর আগেও রোহিঙ্গাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকবার সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃ্ষ্টি হয়েছে।
ফলে রোহিঙ্গাদের একদিকে বিশাল জনগোষ্ঠী আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ভবিষ্যতের কিসের আভাস দিচ্ছে স্থানীয়দের জন্য?
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে এসব রোহিঙ্গারা।
তবে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিয়ত এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় জনগোষ্ঠীরা।

ইমরান আল মাহমুদ

উখিয়া

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...