প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০২০ ১০:৫২ এএম

তাদের পরিবারের ছিলো স্ট্রবেরি চাষ। কে জানতো ওই স্ট্রবেরি চাষীর ছেলেই একসময় রাষ্ট্রের দায়ভার কাঁধে তুলে নিবে। ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ যোগানোর সক্ষমতাও ছিলো না দরিদ্র পরিবারের। তাই কার্ডবোর্ড ফ্যাক্টরিতে কাজ করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালান তিনি।

জাপানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার জীবনেরই গল্প এটি। ১৯৪৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আকিতা এলাকার ওগাচি (বর্তমানে ইয়ুজাওয়া) গ্রামাঞ্চলে জন্ম তার। ভবিষ্যতে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে তার কি ওখানে থাকলে চলে। তাই ইয়ুজাওয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি টোকিওতে পাড়ি জমান।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

কিন্তু পরিবারের বেশি টাকা প্রদানের সামর্থ্যও নেই। তাই তিনি সবচেয়ে কম খরচে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করতে ভর্তি হন হোসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই ১৯৭৩ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সুগা।

বিজ্ঞাপন

সুগা ১৯৮৬ সালে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এলডিপিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে কানাজাওয়া প্রদেশ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি এলডিপির সভাপতি।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার শারীরিক সমস্যার কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে সুগা নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দেন। ১৪ই সেপ্টেম্বর লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি পদের জন্য নির্বাচিত হন। তিনি মোট ৫৩৪টি ভোটের মধ্যে ৩৭৭টি ভোট পান।

পার্লামেন্টে ১৬ই সেপ্টেম্বর আরেকটি ভোটে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের নতুন নেতাই নিশ্চিতভাবে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি সুগা এলডিপির নেতৃত্বও দেবেন।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...