প্রকাশিত: ০৫/০৯/২০১৯ ১১:৪৯ এএম

সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে সুজুকি জিক্সার নতুন কিছু ফিচার। ইতোমধ্যে সুজুকির এই স্ট্রিট নেকেড মোটরসাইকেলটি নতুন কিছু ফিচারসহ বাজারে এসেছে। তাই বাইক প্রেমীদের জন্য সুজুকি জিক্সারের নতুন ফিচারগুলো তুলে ধরা হলো।

নতুন লুক ও ডিজাইন: সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেলটি গত জুলাইতে ভারতের বাজারে ছেড়েছে। নতুন এই মডেলটি ২০১৯ সুযুকি জিক্সার এসএফ এর পর পরই বাজারে ছাড়া হলো। দুটো মডেলই মুলত নতুন কিছু ফিচার আর নতুন লুকের সমন্বয় করে তৈরি করা হয়ছে। আর তাই বলা যায় নতুন জিক্সার পেয়েছে সম্পূর্ণ নতুন একটি লুক ও ডিজাইন। নতুন এই ভার্শনটি মুলত এক্সটেরিয়রের একটি ম্যাসিভ আপডেট। তবে নতুন লুকের সাথে সাথে এর আইকনিক অবয়বটারও সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। ফলে নতুন চেহাড়াটিও জিএসএক্স-আর সিরিজের সত্যিকার পরিচয়টা বহন করে। তো সেই সূত্রে এর ট্যাঙ্ক-ডেন্ট ও মাঝের সাইড-প্যানেলগুলো কিছুটা অপরিবর্তিত রেখে বাকি সবকিছু ঢেলে সাজানো হয়েছে। বাইকটির ফুয়েল-ট্যাঙ্কের দুই পাশ দিয়ে এর প্যানেলদুটো ধারালো ব্লেডের মতো অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর সাইড-প্যানেল দুটো পেছনের দিকে নতুন ডিজাইন নিয়ে টেইললাইটের সাথে যোগ হয়ে গিয়েছে। আর সিটটা এখন স্প্লিট-টাইপ, আর সেগুলো আলাদা ও ভিন্ন উচ্চতায় বসানো। আর নতুন তীরাকৃতি এলইডি টেইললাইট ও স্প্লিট গ্র্যাবরেইলসহ এর টেইলটি সম্পূর্ণ নতুন এক ডিজাইন পেয়েছে।

নতুন জিক্সারেও ডুয়াল একজস্ট মাফলার রয়েছে। তবে তা এখন আরো ফোকাসড ও খানিকটা লম্বাকৃতির। আর এর পেছনের দিকটা সম্পূর্ণ নেকেড-ডিজাইনের হলেও এর পেছনের চাকায় বাড়তি বিকিনি-মাডগার্ড রয়েছে। তো সবমিলিয়ে এর পেছনটা কম্প্যাক্ট, স্পোর্টি আর চমৎকার। এর সামনের দিকের অংশ নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় এটা পুরোপুরি নতুন ডিজাইনের। নতুন ডিজাইনের ডয়মন্ড-শেপ হেডলাইটটি মাল্টি-পিট এলইডি সেটআপ সহ একদমই নতুন এক অংশ। আর সেই সাথে সংযুক্ত এর নতুন ওডো মিটারটিও নেকেড ডিজাইনের। নতুন এই ডিসপ্লে প্যানেলটি পুরোপুরি ডিজিটাল। তো সবমিলিয়ে বলা যায় এটি নতুন জিক্সারের পরিচিতি যথাযথভাবেই তুলে ধরে।

ফ্রেম, হুইল, ব্রেক ও সাসপেনশন সিস্টেম: আগের মডেলের মতোই অনেকটা একই ফ্রেম, হুইল, ব্রেক ও সাসপেনশন সম্বলিত। তবে নতুন ডিজাইনের সাথে কিছু পরির্তন তো আছেই। নতুন এক্সটেরিয়রের সাথে এর সার্বিক ডাইমেনশনেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। চাকাতে আগের মতোই ৬-স্পোক এ্যালয়-রিম সহ টিউবলেস টায়ার রয়েছে। দুই চাকাতেই হাইড্রলিক ডিষ্ক ব্রেক রয়েছে। আর নতুন ২০১৯ ভার্শনে বাড়তি যোগ হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেম। আর সাসপেন্শনের ক্ষেত্রে এর সামনে রয়েছে ৪১মিমি আপরাইট টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন। আর পেছনে রয়েছে রেক্টএ্যাঙ্গুলার সুইংআর্ম সংযুক্ত মনো-সাসপেনশন। তবে নতুন ভার্শনে আরো ভালো ষ্ট্রিট পারফর্মেন্স ও কন্ট্রোলের জন্যে নতুন ট্যুইকিং সমন্বয় করা হয়েছে। আর সার্বিক ডাইমেনশনে বাইকটি বর্তমানে সবমিলিয়ে ১৪০কেজি ওজনের। আর এর হুইলবেজও একটুখানি বেড়ে গেছে। আর নতুন সিট ডিজাইন নিয়ে এর সিট-হাইটও অনেকটাই বেড়ে গেছে। তো সবমিলিয়ে বলা যায় নতুন এই মডেলটি আলাদা ডাইমেনশন আর হ্যান্ডেলিং ক্যারেক্টারের নতুন একটি বাইক।

ইঞ্জিন পারফর্মেন্স ও ফিচার: নতুন সুজুকি জিক্সারটিতে মোটামুটি আগের ইঞ্জিনটিই ব্যবহৃত হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি আগের সেই সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ফোর-স্ট্রোক, এয়ারকুলড, এসওএইচসি ২-ভালভ ইঞ্জিন। আর এর বোর-স্ট্রোকও একই হওয়ায় এটি সেই লংস্ট্রোক ১৫৫সিসি ইঞ্জিন। তবে নতুন ভার্শনে এটি বিএস-ফোর স্ট্যান্ডার্ডে পরিমার্জন করা। আর সেই সাথে এর পুরোনো কার্বুরেটর সিষ্টেম বদলে ফেলে নতুন ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইনজেকটর সংযোজিত হয়েছে। ফলে নতুন বিএস-ফোর স্ট্যান্ডার্ডে পরিমার্জন ও ফুয়েল ইনজেকটর সহ এই এসইপি-ইঞ্জিনটি আগের চেয়ে বেশি পরিমার্জিত। আর সবমিলিয়ে এটি সর্বোচ্চ ১৪.১পিএস পাওয়ার আর ১৪এনএস টর্ক ডেলিভারি করে। এছাড়া নতুন ভার্শনে ট্রান্সমিশন আগের মতোই ৫-স্পিড গিয়ার বক্স নিয়ন্ত্রিত। আর নতুন মডেলে এর ইঞ্জিন থেকে কিক-স্টার্টারটি বাদ দিয়ে কেবল সেলফ স্টার্টার রাখা হয়েছে। তাই সবমিলিয়ে বলা যায় নতুন ভার্শনে জিক্সারের ইঞ্জিনটি আরো বেশি পরিশিলিত পারফর্মেন্স ও ফুয়েল ইকোনমি নিশ্চিত করে টিউন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

টেলিটকের ৪৮ লক্ষ গ্রাহকের সমস্যা দূর করার জন্য যাদুকরি পদক্ষেপ : পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, জীবন কানক্টেভিটি হবে বিটিসিএলর লাইফ ...