প্রকাশিত: ১৪/১২/২০১৯ ৮:০৫ পিএম

মিয়ানমারের স্ট্রেট কাউন্সিলর অং সান সু চি নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) শুনানি শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি নিজ মিয়ানমারের নেপোডিতে জাতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসময় তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে দেশটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।

এছাড়া তাকে সংবর্ধনা জানাতে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মিয়ানমার নাগরিক। সুচির সমর্থকদের দাবি, হেগে গণহত্যার অভিযোগ থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন সুচি।

বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সুচির কালো গাড়ি ধীরে ধীরে এগুতে থাকলে সংবর্ধনা জানাতে আসা আগত জনতা দেশটির পতাকা নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

সংবর্ধনা দিতে আসা স্থানীয় কৃষক খিন মাং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ‘আমাদের মা সুচি, দেশের পক্ষে আদালতে যান। আসলে অভিযোগটি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছিল। তবে তিনি রাষ্ট্রনেতা হিসাবে নিজের দায়িত্বের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন।’

এর আগে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও সম্প্রদায় ধ্বংসের অভিযোগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করে। যার শুনানিতে অংশ নিতে হেগে যান সুচি। মিয়ানমারের আইনি দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করে মিয়ানমার। মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন সুচি। শুনানিতে তিনি বলেন, আরাকানে কয়েকশো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও বিচারব্যবস্থা এ নিয়ে কাজ করছে। জাতিগত সংঘাতে নয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর আধিপত্যের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

শুনানির শেষ দিন সুচি মামলাটি তালিকা থেকে সরানোর জন্য অনুরোধ জানায়। এদিকে মিয়ানমারের ওপর অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করে গাম্বিয়া। কিন্তু তা বাতিল করে দেয় আইসিজে।বার্তা২৪

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...