প্রকাশিত: ২৩/০১/২০১৭ ১১:২৫ পিএম

ঢাকা: ৭ বছর আগে পরিচয় হয়েছিলো সানির সঙ্গে। ধীরে ধীরে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শেষ পরিনতি ঘটে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর। দুই পরিবারকে না জানিয়েই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সানি ও নাসরিন।

নাসরিন জানায়, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর কুনিপাড়ায় বোনের বাসায় সানি কাজী ডেকে এনে বিয়ে করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাম-হাতি অফ স্পিনার আরাফাত সানি।

বিয়েতে সানির পক্ষ্যে তার বন্ধু মনজুর হোসেন ও শরিফ উপস্থিত ছিলেন। আর নাসরিনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তার বোন ও ভগ্নিপতি।

এ সময় নাসরিনের পক্ষে আদালতে দাখিল করা নিকাহনামায় দেখা যায়, কাজী আনোয়ার হোসেন ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহরানায় তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন। এতে ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানা, মেরাদিয়া, অফিস-২০/সি ঠিকানা উল্লেখ আছে। বিয়েতে সানির অন্য স্ত্রী নেই বলে কাবিননামায় উল্লেখ করা হয়। এবং দেনমোহর সম্পূর্ণ বাকি দেখানো হয়।

বিয়ের পর গত বছর তাকে নিয়ে থাইল্যন্ড বেড়াতে যান তিনি বলেও জানিয়েছেন নাসরিন।

নাসরিন জানায়, কুনপিাড়ায় বোনের বাসার পাশে ৬ মাস তারা একটি বাসা ভাড়া নিয়ে এ সঙ্গে থাকতো এবং বাসা ভাড়ার টাকা সানিই বহন করতো। হঠাৎ সানি আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।

তিনি জানায়, বউ হিসেবে স্বীকৃতি চাওয়ায় তালবাহানা শুরু করে সে। এক সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করে সে।

নাসরিন আরো জানায়, এক পর্যায়ে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেইক একাউন্ট খুলে নগ্ন ছবি প্রকাশ করতে থাকে সানি। শুধু তাই নয়! সেই ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক সানি তার বন্ধুবান্ধবদের কাছেও শেয়ার করে।

তাই বাধ্য হয়ে আইসিটি আইনে থানায় মামলা করি। কিন্তু আমি কখনো এমনটি চাইনি।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘গত বছরের ১২ জুন রাতে ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) নামের একটি ফেসবুক ফেইক আইডি থেকে নাসরিনের আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। ওই ফেইক আইডিটি আরাফাত সানির ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নম্বর থেকে খোলা হয়েছিল এবং ওই ছবিগুলো শুধু সানির কাছেই ছিল।’

উল্লেখ্য, রবিবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। সানির বান্ধবীর করা এক অভিযোগের ভিত্তিতে আমিনবাজারের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামালউদ্দীন মীর বলেন, তার বান্ধবী (তার নামটি গোপন রাখা হচ্ছে) গত ৫ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এই মামলাটি করেন।

পাঠকের মতামত