প্রকাশিত: ২৭/০৯/২০১৬ ৬:৫৯ এএম

lama-photp-1এম.বশিরুল আলম,লামাঃ
বান্দরবানের লামায় খাল সাঁতরিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়ত করছে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের এম হোসেনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়তের জন্য পার্শ্বোবর্তী পোপাখালের উপর ব্রিজ নির্মানের দাবী উঠেছে। এছাড়া এই খালের উপর ব্রিজটি নির্মিত হলে সদর ইউনয়িনরে ৭নং ওর্য়াড ও পাশ্ববর্তী রুপসীপাড়া ইউনয়িনরে ৩নং ওর্য়াডরে ছচিখাইন পাড়ার শতাধিক পরিবার সহজতর যাতায়তের সেতুবন্ধন হবে।। সে সাথে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপন্য বাজারজাত করে প্রান্তিক কৃষকরা মহাজনদের দাদন ব্যবসা থেকে মুক্ত পাবে। স্থানীয় কৃষক. হ্লাচিং মার্মা আবুল মিয়া ও রতন ত্রিপুরাসহ অনেকে জানায়, লামা ইউনিয়ন ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের সংযোগস্থল কয়েকটি পাড়া ও গ্রামের মানুষ কৃষি নির্ভর। পাহাড় ও পাহাড়ী ছড়ার পাশের উর্ববর পলিযুক্ত মাটিতে ১২ মাসই রকমারি কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। বার কিলোমিটার দুরবর্তী লামা শহরে উৎপাদিত কৃষিপন্য বাজারজাত করতে যাতায়তে প্রধান সমষ্যা হচ্ছে পোপাখাল। এর ফলে দাদন ব্যবসায়ীরা পাড়ায় ও গ্রামে গিয়ে আগাম টাকা দিয়ে কমমুল্যে ক্ষেতের ফসল কিনে নেয়। মৌসুমে এসে প্রান্তিক কৃষকরা দাঁধনের বিনিময়ে সব ফসল দেয়ার পর, মোনাফার মুখ দেখেনা। এম হোসেনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুজ্জামান জানায়, পোপা খালের উপর ব্রিজ নির্মানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছি। ব্রিজটি অচিরেই নির্মিত হবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেছেন। গ্রামবাসিরা জানায় পোপা খালের উপর ব্রিজ নির্মিত হলে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত যাতায়তসহ স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙ্গালী কৃষকরা উপকৃত হবে।

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মংহ্লাথুই, উছাইমং ও এছউি র্মামা জানায়, শুষ্ক মৌসুমে সাঁতরিয়ে খাল পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া পৌঁছা গেলেও র্বষা মৌসুমে তীব্র ¯্রােতে যাওয়া যায় না। লামা পোপাখালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী করেছে এলাবাসি। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্টরা নজর দেবেন এমনটা আশা করছেন, লামা ও রুপসীপাড়ার একাংশের বিদ্যালয়ের কচিকাচা ছাত্রছাত্রী দুর্গম গ্রামবাসিরা।

লামা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কাশেম জানায়, এম হোসেন পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬৬ জন ছাত্রছাত্রীর বেশিরভাগই বিদ্যার্জনে পোপাখাল সাঁতরিয়ে! আসতে হয়। লামা ও রুপসীপাড়া দু’ ইউনিয়নের বিস্তৃীর্ন পাহাড়ী পল্লীর পানি প্রভাহিত হওয়ায় খালটি ১২ মাসই খর¯্রােতা থাকে। বর্ষা মৌসুমে খালটি পানির প্রভাহে নদীতে রুপ নেয়, ফলে অনেক ছাত্র বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা। অবস্থা এমনই “সাঁতার শেখে বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতী নিতে হয়” (!)।

পাঠকের মতামত